পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপির প্রত্যন্ত এলাকায় জনসংযোগে বিজেপির তরুপের তাস 'মহাগুরু' মিঠুন। বুধবার পুরুলিয়ার হুড়ার লধুরকার ঝান্ডা ময়দানে কর্মিসভায় করেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। কর্মীসভা শেষে সোজা বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সহ সভাপতি ফাল্গুনী বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে যান মিঠুন চক্রবর্তী। সেখানেই সারেন মধ্যাহ্নভোজ। একেবারে বাঙালি পদে তাঁকে খাবার পরিবেশন করা হয়। মোট ১৪টি পদ দিয়ে মহাভোজ খান মিঠুন।
কী ছিল মহাগুরুর পাতে?
বলিউডে বাঙালিবাবু বলেই পরিচিত মিঠুন চক্রবর্তী। বহু বছর মুম্বই, উটিতে থাকলেও মনে প্রাণে এখনও আদ্যপান্ত বাঙালি তিনি। তার পাতও তাই সাজানো হয়েছিল বাঙালি আটপৌরে সব পদ দিয়ে। মিঠুনবাবুর মেনুতে ছিল ভাত, বাসন্তী পোলাও, বেগুন ভাজা, আলু ভাজা, ডাল, পোস্তর বড়া, আলু পোস্ত, চচ্চড়ি, মাছের কালিয়া, চারাপোনার ঝাল, পনির, চাটনি, মিষ্টি ও পায়েস।
খেতে খেতে মিঠুন জানান, বাঙালি খাবার তাঁর সবসময়ই প্রিয়। বলেন, 'চেঁটেপুটে খাচ্ছি। ভালো রান্না হয়েছে। আমার প্রিয় কাতলা মাছ। তবে, মিষ্টি, পায়েস অনেক কিছু আছে। এই বয়সে এতো মিষ্টি তো খাওয়া যাবে না।'
বিজেপি জেলা সহ সভাপতি ফাল্গুনী বন্দ্যোপাধ্যায়েরর বোন মৌসুমী বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মহাগুরুর জন্। বাড়ির মহিলারা মিলেই রান্নাগুলি করেছেন। দলের শোস্টপারকে খাবার খাইয়ে খুশি বিজেপি জেলা সহ সভাপতিও।
বুধবার হুড়ার লধুরকার ঝান্ডা ময়দানে কর্মিসভায় যোগ দেন ‘মহাগুরু’ মিঠুন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রথমেই তিনি বলেন, 'আজ আমি ডায়লগ দিতে নয়, আপনাদের কথা শুনতে এসেছি। আপনাদের যা জিজ্ঞাসা করার করুন। যার যা দুঃখ, কষ্ট আছে বলুন।'
জনসভায় উপস্থিত বৃদ্ধা আবাস যোজনার ঘর না মেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তখন রীতিমতো উদাহরণ দিয়ে মহাগুরু বলেন, 'আগেই কেন্দ্র অর্থ দিয়েছে ওই খাতে। কিন্তু রাজ্য হিসাব দেয় না। উল্টে বাংলা আবাস যোজনা বলে চালাচ্ছে। এর টাকা অন্যকে দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা সবাই পাবেন। কিছুদিনের জন্য টাকা আটকে রাখা হয়েছে। কারণ, রাজ্য সরকারকে হিসেব দিতে হবে। এটা জনগণের টাকা। সবাইকে হিসেবে দিতে হবে।”