/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/14/iel0fsn8_mizoram-train_160x120_13_september_25-2025-09-14-20-47-33.jpg)
নদীয়া জেলায় রেলের মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। রবিবার থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের রেল মানচিত্রে এক বড় পরিবর্তনের সাক্ষী থাকল কৃষ্ণনগরবাসী। এই প্রথম মিজোরামের সায়রং থেকে সরাসরি ট্রেন এসে পৌঁছল কলকাতায়। দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটে ১৩১২৬ সায়রং-কলকাতা এক্সপ্রেস কৃষ্ণনগর স্টেশনের মাটি ছোঁয়। মাত্র দশ মিনিটের বিরতির পর ট্রেনটি নৈহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে উচ্ছ্বসিত কৃষ্ণনগর তথা নদীয়ার মানুষজন। তাঁদের মতে, এবার থেকে মিজোরাম যেতে আর কোনও ঝক্কি-ঝামেলা পোহাতে হবে না। প্রায় ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার পথ এখন নির্ঝঞ্ঝাটে পাড়ি দেওয়া সম্ভব হবে ট্রেনে চড়েই।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা থেকে সায়রংয়ের দূরত্ব প্রায় ১ হাজার ৩৪৬ কিলোমিটার। এই পথে বাংলা, বিহার, অসমের গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে স্টপেজ থাকছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীকে যুক্ত করা হয়েছে এই রেলপথের মাধ্যমে। দুর্গাপুজোর আগে এই পরিষেবা চালু হওয়ায় ভ্রমণপিপাসু বাঙালির কাছে এটি নিঃসন্দেহে সুখবর। পাশাপাশি পর্যটন শিল্পেও নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রবিবার উদ্বোধনী বিশেষ ট্রেন কলকাতা পৌঁছলেও ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে নিয়মিত বাণিজ্যিক পরিষেবা। ওই দিন থেকেই ১৩১২৫ কলকাতা-সায়রং এক্সপ্রেস চালু হবে। ট্রেনটি চলবে সপ্তাহে তিন দিন—শনিবার, মঙ্গলবার ও বুধবার। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে কলকাতা থেকে ছেড়ে পরের দিন ভোরে পৌঁছবে কামাখ্যা এবং সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে গুয়াহাটি। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে পৌঁছবে মিজোরামের সায়রং। অন্যদিকে, ১৩১২৬ সায়রং-কলকাতা এক্সপ্রেস ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে যাত্রা শুরু করবে। সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে পরের দিন দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পৌঁছবে কলকাতা।
এই ট্রেন কৃষ্ণনগর সিটি জংশন, নৈহাটি, বহরমপুর কোর্ট, মুর্শিদাবাদ, আজিমগঞ্জ, জঙ্গিপুর রোড, নিউ ফরাক্কা, মালদা টাউন, নিউ জলপাইগুড়ি, কামাখ্যা, গুয়াহাটি সহ মোট ২৪টি স্টেশনে থামবে। প্রথম দিনের যাত্রা আরও বিশেষ হয়ে উঠেছিল নদিয়ারই লোকোপাইলট তাপস সাধুখাঁর হাত ধরে। মালদা থেকে ট্রেন চালিয়ে নিয়ে এসে তিনি বলেন, “ভীষণ ভালো লাগছে, নদিয়াবাসী হিসেবে গর্বিত।”
প্রথম দিনের যাত্রীদের মধ্যেও ছিল উৎসাহ। শিক্ষক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করার পর অবসর নেওয়া নয়ন পাণ্ডে জানান, “সরাসরি মিজোরাম যাওয়ার সুযোগ পেয়েই প্রথম যাত্রার ট্রেনে উঠেছি। এরকমভাবে চললে ভীষণই ভালো লাগবে।”
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us