এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে দরিদ্র প্রার্থী ছিলেন তিনি। বিজেপির টিকিটে ভোটে জিতে সবার মন জয় করে নেন চন্দনা বাউড়ি। তাঁকে নিয়ে গর্বিত ছিল বঙ্গ বিজেপিও। কিন্তু শালতোড়ার সেই বিধায়কের বিরুদ্ধেই এবার উঠল পরকীয়ার অভিযোগ। জানা গিয়েছে, পেশায় গাড়ির চালক ও বিজেপি কর্মী কৃষ্ণ কুণ্ডুকে লুকিয়ে বিয়ে করেছেন চন্দনা। কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের কথা জানিয়েছে পুলিশ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক।
Advertisment
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কৃষ্ণ কুণ্ডুর স্ত্রী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করবে পুলিশ। এদিকে, স্বামী শ্রবণ বাউড়ির সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল বলে দাবি করেছেন চন্দনা। সেই ঝগড়া থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। নিজেদের মধ্যে সব মিটিয়ে নিয়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিধায়ক। এর পিছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি তাঁর।
কিন্তু তৃণমূল এই দাবি মানতে নারাজ। জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরা বলেন, উনি গতকাল গভীর রাতে লুকিয়ে গিয়ে মন্দিরে বিয়ে করেছেন। তারপর থানায় এসে বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। তারপর গাড়িতে উঠে চলে যান। উনি যদি বিয়েই না করে থাকেন, তাহলে তখনই গাড়িতে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সবটা খোলসা করতে পারতেন। এখন উনি কেন অস্বীকার করছেন। এসব নাটক মানুষ বুঝে গিয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চন্দনার দ্বিতীয় বিয়ের খবর চাউর হতেই তোলপাড়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি কর্মী বলছেন, কৃষ্ণ কুণ্ডুর সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে বিধায়কের। তা তিনি স্বীকার করছেন না। কিন্তু ওনার কাজকর্মে লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। জেলা বিজেপির কয়েকজন দাবি করেছেন, শালতোড়া বিধানসভা এলাকার সহ-আহ্বায়ক হলেন কৃষ্ণ। অন্যদিকে, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চান না বলে জানিয়েছেন। জেলা বিজেপিও বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। তবে ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন