নিজেদের দলের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেই বিজেপির আবাস যোজনা নিয়ে অভিযোগ কোনও গুরুত্ব পেল না। উলটে রাজ্যের বিরুদ্ধে তোলা এই অভিযোগের সম্পূর্ণ উলটো পথে হেঁটে নবান্নকে সার্টিফিকেট দিল মোদী সরকার। রীতিমতো চিঠি দিয়ে রাজ্যকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়ে দিল, আবাস যোজনায় দুর্নীতির কোনও প্রমাণ নেই। যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড়সড় স্বস্তি পেল তৃণমূল কংগ্রেস। যে স্বস্তিকে বিরোধীদের অভিযোগের কাঠগড়ায় থাকা তৃণমূল বড় প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক জয় হিসেবেই দেখছে।
এর আগে আবাস যোজনায় নবান্নের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তাপ বাড়িয়েছিল এরাজ্যের প্রধান শাসক দল বিজেপি। সেই অভিযোগের জবাবে নবান্ন ও তৃণমূল কংগ্রেস গোড়া থেকেই বলে আসছিল, দুর্নীতির প্রশ্নই নেই। যা হয়েছে, কেন্দ্রীয় নিয়ম মেনেই হয়েছে। রবিবার রাজ্য ও রাজ্যের শাসক দলের সেই দাবিতেই কার্যত সিলমোহর দিল মোদী সরকার। যার ভিত্তিতে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যে অভিযোগ করার আঙুল তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস।
একইসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, স্রেফ রাজনীতির জন্য রাজনীতি করতেই ময়দানে নেমেছিলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠিতেই তা প্রমাণ হয়ে গেল। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের চিঠি পাওয়ার পর এবার আবাস যোজনার বকেয়া বরাদ্দ চেয়ে পালটা চিঠি দেওয়ার প্রস্তুতি রাজ্য সরকার শুরু করেছে।
আরও পড়ুন- ইলেকটোরাল বন্ড কিনবেন? জানেন ব্যাপারটা কী? কোথায় গেলে পাবেন?
এই ব্যাপারে রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, 'সোমবার থেকে রাজ্যে বর্ধিত বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। কেন্দ্রের চিঠির ব্যাপারে যা বলার আমি বিধানসভাতেই বলব। আবাস যোজনা নিয়ে অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্র অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আর এফআইআরের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, কেন্দ্রের তদন্তকারীরা কোনও দুর্নীতিই খুঁজে পাননি।'
অথচ, অতি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলছিল রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। তাদের সুরে সুর মিলিয়েছিল বামেরাও। বিরোধীরা সমস্বরে অভিযোগ করছিল, যোগ্যদের বঞ্চিত করে রাজ্য অযোগ্যদেরকেই কেন্দ্রীয় যোজনায় আবাস পাইয়ে দিয়েছে। যার পিছনে বড়সড় দুর্নীতি এমনকী আর্থিক লেনদেনের ইঙ্গিত করতেও ছাড়েননি বিরোধীরা।