দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে চাঁচাছোলা আক্রমণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। মঙ্গলবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে দলের একটি কর্মসূচিতে হাজির হয়ে দুর্নীতি ইস্যুতে সুর চড়ান মোদী। অবিজেপি দলগুলিকে কার্যত এক হাত নেন তিনি। বিশেষ করে দিন কয়েক আগে পাটনায় বিরোধীদের 'মহাবৈঠক'-কেই এদিন নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। দল ধরে ধরে তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির পাহাড়-প্রমাণ অভিযোগ এনেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর বেনজির নিশানায় পড়েছে তৃণমূলও।
Advertisment
মঙ্গলবার ভোপালে দলের কর্মসূচিতে থেকে তৃণমূলকে নিশানা করে মোদী বলেন, 'তৃণমূলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ। সারদা দুর্নীতি, রোজভ্যালি দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার। বাংলার মানুষ এই দুর্নীতি কোনওদিনও ভুলবেন না।'
তবে শুধু তৃণমূলই নয় কংগ্রেস, আরডজি, ডিএমকে-সহ একাধিক অবিজেপি দলের বিরুদ্ধে এদিন দুর্নীতির ভুরি-ভুরি অভিযোগ এনেছেন প্রধানমন্ত্রী। দিন কয়েক আগেই মিশন'২৪-এর লক্ষ্যে বিহারের রাজধানী পাটনায় একত্রিত হয়েছিল বিজেপি বিরোধী প্রায় ১৫টি দল। কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ, সিপিএম, আরজেডি, পিডিপি, ডিএমকে-সহ বিরোধীদের একটি বড় অংশ পাটনার বৈঠকে সামিল ছিল।
মোদী এদিন ধরে ধরে তাঁদেরই নিশানা করেছেন। কংগ্রেসকে নজিরবিহীন আক্রমণ শানিয়ে এদিন নমো বলেন, 'ফটোসেশনে যাঁদের দেখা গিয়েছে তাঁদের মিলিত দুর্নীতির পরিমাণ ২০ লক্ষ কোটি টাকা। কংগ্রেসের দুর্নীতিই শুধু লক্ষ-কোটি টাকার। ১ লক্ষ ৮৬ হাজার কোটির কয়লা কেলেঙ্কারি। ১ লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকার টু-জি কেলেঙ্কারি। ৭০ হাজার কোটি টাকার কমনওয়েলথ দুর্নীতিও রয়েছে। ১০ হাজার কোটি টাকার মনরেগা দুর্নীতি। হেলিকপ্টার থেকে শুরু করে সাবমেরিনেও দুর্নীতি কংগ্রেসের। এমন একটা ক্ষেত্রও নেই যেটা কংগ্রেসের দুর্নীতির শিকার হয়নি।'
এরই পাশাপাশি লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডিকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পশুখাদ্য, আলকতারা কেলেঙ্কারিতে আরজেডিকে অভিযুক্ত করে সুর চড়িয়েছেন মোদী। টিপ্পনির সুরে এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আরজেডির দুর্নীতির তালিকা এতই বড় যে আদালতও ক্লান্ত হয়ে গিয়েছে। একের পর এক সাজা ঘোষণা করছে।'