একঘন্টার একটু বেশি, আরামবাগের সভা থেকে তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরপরই সন্ধ্যার মুখে বিকেল ৫.৪০ নাগাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাজভবনে যান 'দিদি'। বৈঠক চলে এক ঘন্টার বেশি। এরপর সন্ধ্যায় ৬.৪৫ নাগাদ বেরিয়ে আসেন মমতা। কী আলোচনা হল? জবাবে রাজভবন থেকে বাইরে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন,'আজ প্রটোকল মেনে মোদীজির সঙ্গে দেখা করেছি, গল্প করলাম, বাংলার মিষ্টি দিলাম।'
বাংলায় মোদী। আক্রমণের সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। ফলে বঙ্গ রাজীনির পারদ বেশ চড়া। তার মধ্যেই স্বয়ং মোদী সোচ্চার হয়েছে সন্দেশখালি, তৃণমূল সরকারে একাধিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে। উন্নয়নের ব্যাপারে বাংলায় কচ্ছপের গতি বলে কটাক্ষ করেছেন। বদলের ডাক দিয়েছেন। গ্যারান্টি হিসাবে নিজেকে দেখিয়েছেন এ রাজ্যের ভোটারদের। এই আবহে মোদী-মমতা বৈঠক। স্বাভাবিকভাবেই নানা জল্পনা ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রীর 'গল্প করলাম, বাংলার মিষ্টি দিলাম' মন্তব্যের পরই সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছোঁড়েন আর কী কথা হয়েছে? কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের বকেয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও কথা হয়েছে কি? উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিলেন, 'সে সব নিয়ে আমার যা বলার, বলে দিয়েছি। বাকি যা কিছু বলার রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে বলব।' অর্থাৎ রাজভবনে দাঁড়িয়ে মোদীর নিন্দার জবাব এড়িয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী!
আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে সভা রয়েছে তৃণমূলের। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, সেই সভা থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মোদীর আনা অভিযোগের জবাব দিতে পারেন।
মোদী-মমতার সাক্ষাৎ নিয়ে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীকে এ দিন নিশানা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছেন, ''দুর্নীতি , সন্দেশখালি নিয়ে হুঙ্কার ছুঁড়েছেন মোদী। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দোষীদের কোনভাবেই রেয়াত করা হবে না, রাজভবনে উনি প্রধানমন্ত্রীর পা ধরতে যাচ্ছেন! কিন্তু এ সব করে কোনও লাভ হবে না।'
নবান্ন সূত্রে খবর, যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার রীতি মেনে প্রধানমন্ত্রী কোনও রাজ্যে গেলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে থাকেন। সেই রীতিই পালন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- PM Modi Arambagh Rally: দুর্নীতির নয়া ‘মডেল’ তৃণমূলের, ‘বদলা’র ডাক মোদীর, দিলেন ‘গ্যারান্টি’