দলের (তৎকালীন) মহাসচিব গ্রেফতারির পরপরই দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিন দিনে তিনবার মোদী-মমতা সাক্ষাৎ হয়। যা নিয়ে বাংলার রাজনীতিতে নানা বিতর্ক। বাম, কংগ্রেসের মোদী-মমতার 'সেটিং' তত্ত্বের দাবি তুলে সোচ্চার হয়। তবে, দুই ফুল শিবিরই সেই তত্ত্ব উড়িয়েছিল। রবিবার বেহালার ম্যানটনের সভা থেকে বিরোধীদের 'সেটিং' তত্ত্বের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তৃণমূল নেত্রী।
কী বললেন মমতা?
বিরোধী দলগুলি যখন বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের রফার ইঙ্গিত করছে, তখন পাল্টা জবাব দিতে রাজ্যের দাবি-দাওয়া আদায়কেই হাতিয়ার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর রাজধানীতিতে গিয়ে মোদী সাক্ষাতের কারণ জানাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'অনেকে বলছে আমি সেটিং করতে দিল্লি গিয়েছি। কেন যাব না? আমার ১০০ দিনের কাজের শ্রমিকরা ৭ মাস টাকা পায় না। এদের জন্য আমায় যেতে হলে হাজার বার যাব।'
আরও পড়ুন- ‘আমার বাড়িতে গেলে রাস্তায় নামবেন তো?’ কর্মীদের ইঙ্গিতপূর্ণ প্রশ্ন মমতার
পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, 'তোমাদের কংগ্রেস, সিএম যখন গেল, তখন সেটিং না? সীতারাম গেলে হয় না? কংগ্রেস শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী গেলে সেটিং হয় না? বিজেপির কাছে ভিক্ষা চাইতে আমি যাই না। নীতি আয়োগের মিটিংয়ে যাব না?' উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নীতি আয়োগের একটি বৈঠকেও অংশ নেননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- ‘কেন কেষ্টকে গ্রেফতার?’, অনুব্রতর পাশেই মমতা
মমতার ব্যাখ্যার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বলেছেন, 'দিদি পরিবারকে বাঁচাতে মরিয়া। তাই দলের কাছের নেতাদের বলি দিচ্ছেন। আর সেটিং তো হয়েছে সেটা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের প্রার্থীকে তৃণমূল সাংসসদের ভোট না দেওয়াতেই স্পষ্ট। তৃণমূল বিরোধী জোটকে আঘাত করে, বিজেপি সাহায্য করে দেয়। এটা সেটিং নয়?'