আজ বারাণসী থেকে নৌকোবিহারের জন্য বিলাসবহুল নৌকো 'এমভি গঙ্গাবিলাস'-এর সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মারফত তিনি এই নৌকোবিহারের সূচনা করবেন। সূচি অনুযায়ী বিশেষ হেরফের না-হলে, সকাল ১০টায় হবে অনুষ্ঠান। প্রমোদতরী 'এমভি গঙ্গাবিলাস', বারাণসী থেকে ৩,২০০ কিলোমিটার নদীপথ ধরে গঙ্গা, ভাগীরথী, হুগলি, পদ্মা, মেঘনা থেকে ব্রহ্মপুত্র একের পর এক নদী ও নদের খাতে ঘুরবে।
Advertisment
৫১ দিনে এই প্রমোদতরী বারাণসী থেকে বাংলাদেশের ঢাকা হয়ে অসমের ডিব্রুগড়ে পৌঁছবে। পথে এই প্রমোদতরী ছুঁয়ে যাবে ফরাক্কা, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, কাটোয়া, মতিয়ারি, কলকাতা, নামখানা, ভগবতপুর, সজনেখালির মত বিভিন্ন এলাকা। প্রথম যাত্রাপথে বিদেশিরাই এই প্রমোদতরীতে স্থান পাবেন। সুইজারল্যান্ডের ৩২ জন পর্যটক উঠবেন এই প্রমোদতরীতে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে।
এর পাশাপাশি এদিনই প্রধানমন্ত্রী হলদিয়া বন্দরে 'মাল্টিমোডাল টার্মিনাল' উদ্বোধন করবেন। টার্মিনালের উদ্বোধন হলে, প্রতি বছর হুগলি নদীতে ৩০ লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য ওঠানো-নামানো সহজ হবে। সঙ্গে, এই টার্মিনালের বার্থে ঢুকতে পারবে ৩,০০০ টন ওজন বহনের ক্ষমতাসম্পন্ন ছোট জাহাজ বা বার্জ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর, বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় কেন্দ্রীয় সরকারের জলমার্গ বিকাশ প্রকল্পের অধীনে এই টার্মিনাল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যার লক্ষ্য, বারাণসী ও হলদিয়ার মধ্যে ১,৩৯০ কিলোমিটার নদীপথে পণ্য ও যাত্রী চলাচলের পথ সুগম করা। নদীপথে পশ্চিমবঙ্গ, অসম, বাংলাদেশের মধ্যে সংযুক্তিকরণ। জলপথে এই সংযুক্তিকরণের ফলে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বাড়বে। হলদিয়া থেকে বাংলাদেশের বন্দরে ফ্লাই অ্যাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন পণ্য পাঠানো সহজতর হবে।
এদিনই প্রধানমন্ত্রী আবার গুয়াহাটির পান্ডুতে জাহাজ মেরামতির জন্য টার্মিনালের শিলান্যাস করবেন। গুয়াহাটির এই টার্মিনাল ব্যবহার শুরু হলে কলকাতা বন্দরে জাহাজ মেরামতির কাজে চাপ কমবে। পাশাপাশি, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য অসমও জলশক্তি ব্যবহারে আরও সক্ষম হয়ে উঠবে।