Advertisment

Eastern Railway: যুগান্তকারী উদ্যোগ রেলের! অভাবনীয় পদক্ষেপে বাংলার পর্যটনে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে

Rail: যাত্রীদের সুবিধা দিতে এর আগেও এমন বিভিন্ন পদক্ষেপ করতে দেখা গিয়েছে পূর্ব রেলকে। স্টেশনের আধুনিকীকরণের কাজ থেকে শুরু করে ট্রেনের কামরায় আরও বেশি সুযোগ সুবিধা দেওয়া কিংবা ট্রেনের সংখ্যা বাড়িয়েও যাত্রীদের সুবিধা দিয়ে গিয়েছে রেল। এবার রেলের এই পদক্ষেপগুলি নিয়েও জোরদার চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Moinapur Boro Gopinathpur line connection between Tarkeswar Bishnupur line to be completed soon

প্রতীকী ছবি।

Eastern Railway: তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলওয়ে প্রকল্পের গোঘাট ও ময়নাপুরের মধ্যে লাইন সংযোগের কাজ পুরোদমে চলছে। আশা করা হচ্ছে যে ময়নাপুর এবং বড় গোপীনাথপুরের মধ্যে ৭.৫২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রেললাইনের প্রসারণের কাজটি শীঘ্রই সম্পন্ন হবে এবং তারপরে বড় গোপিনাথপুর এবং জয়রামবাটির মধ্যে পরবর্তী প্রকল্প চালু করা হবে।

Advertisment

বড় গোপীনাথপুর থেকে ময়নাপুর পর্যন্ত লাইন তৈরির কাজ ৯০% সম্পন্ন হয়েছে। বড় গোপীনাথপুরে রেলওয়ে ট্র্যাক ও স্টেশন বিল্ডিং নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে। সমস্ত বড় এবং ছোট সেতুর নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে (৩৩টির মধ্যে, ৩১টি ছোট সেতু / সীমিত উচ্চতার সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ৩টি বড় সেতু নির্মাণের কাজের জন্য সাবস্ট্রাকচার এবং গার্ডার তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে)। পয়েন্ট ও ক্রসিং এর সাথে ট্র্যাকের সংযোগ এবং ব্যালাস্টিং এর কাজ চলছে। ইলেকট্রিক ট্র্যাকশনের জন্য ভিত্তি নির্মাণ করা হয়েছে। সিগন্যালিং ক্যাবল (ওএফসি) বসানোর কাজও শুরু হতে চলেছে ১ বা ২ দিনের মধ্যে।

বড় গোপীনাথপুর এবং জয়রামবাটি (৭.১ কিমি) এর মধ্যে ট্র্যাকের ভিত্তি স্থাপন এবংসেতু নির্মানের কাজ চলছে। ২৬টির মধ্যে ২১টি ছোট সেতু/সীমিত উচ্চতার সাবওয়ে/রোড আন্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, ৮ টির মধ্যে ৫টি বড় সেতুর জন্য পরিকাঠামো ও গার্ডার তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জয়রামবাটিতে স্টেশন বিল্ডিংয়ের নির্মাণ কাজ চলছে। আশা করা হচ্ছে যে, বিষ্ণুপুর থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত পুরো সংযোজনের কাজ এই বছরের শেষের মধ্যে সম্পন্ন হয়ে যাবে।

আরও পড়ুন- World University Ranking: চমকে যাবেনই! পৃথিবীর সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ! কলকাতা ও যাদবপুরের স্থান কত জানেন?

কামারপুকুর স্টেশন বিল্ডিং অনেক আগেই নির্মিত হয়েছে এবং সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু কামারপুকুরে স্লিপার এবং লাইন ইতিমধ্যেই স্থাপন করা হয়েছে এবং এই স্টেশনটিতে এখন জয়রামবাটির সাথে সংযোগ করার জন্য ট্র্যাকের সংযোজনের অবশিষ্ট অংশ নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি চলছে। যদিও জয়রামবাটি এবং কামারপুকুরের মধ্যে জমি অধিগ্রহণের সমস্যা ইতিমধ্যেই সমাধান করা হয়েছে কিন্তু প্রায় দেড় কিলোমিটার প্রসারিত এই দুটি স্টেশনের মধ্যে একটি নিচু এলাকা রয়েছে যার জন্য এই এলাকার মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য রেলওয়ে সেতু নির্মাণের প্রয়োজন এবং সেই অনুযায়ী পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- Digha: এখবরে ভ্রমণপিপাসুদের মনে সুনামি বইবে! মাত্র ৪৫ টাকায় হাওড়া থেকে দিঘা, কীভাবে? জানুন ঝটপট

গোঘাট থেকে রেলওয়ে ট্র্যাকটি গোঘাট স্টেশনের বাইরে প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত প্রসারিত করা হয়েছে এবং গোঘাটকে কামারপুকুরের সাথে সংযুক্ত করার জন্য উভয় দিক থেকে মাটির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে, সমস্ত (২৮টি) ছোট সেতু/সীমিত উচ্চতার সেতুর কাজ গোঘাট ও কামারপুকুরের মধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু ভবাদিঘির ওপর দিয়ে প্রায় ৯০০ মিটার দীর্ঘ রেলপথ নির্মাণের কাজ স্থানীয় কিছু সমস্যার কারণে থমকে আছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সক্রিয় সহযোগিতায় খুব শীঘ্রই এই সমস্যারও সমাধান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন- Travel: কলকাতার কাছেই ফাটাফাটি ৫ নতুন সমুদ্র সৈকত আবিষ্কার! বাংলার পর্যটনের মুকুটে নয়া পালক!

এই প্রকল্পটি হাওড়া থেকে যথাক্রমে শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেব এবং মা সারদার পবিত্র জন্মস্থান হিসেবে পরিচিত কামারপুকুর এবং জয়রামবাটি পর্যন্ত সরাসরি রেল যোগাযোগের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণকে উপকৃত করবে। এটি অবশ্যই এই অঞ্চলে পর্যটনক্ষেত্রকে উৎসাহিত করবে।

আরও পড়ুন-Indian Railways: ট্রেনে কনফার্ম টিকিট আপনার, সিটে অন্য কেউ? সহজ এই কাজেই আসনের দখল নিন

রেলওয়ে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক ব্যাবস্থার উন্নতির জন্ন্য ও পরিবহন সহজলভ্য করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই প্রোজেক্টটিতে বিশেষ আলোকপাত করেছে এবং সুসম্পন্ন হওয়ার জন্য চেষ্টা করছে। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলি উচ্চ ফলনশীল কৃষিপ্রধান প্রকৃতির, তাই তারকেশ্বর এবং বিষ্ণুপুরের মধ্যে উচ্চগতির যোগাযোগ একটি নতুন পরিবর্তন নিয়ে আসবে যেটি ভবিষ্যতে উন্নত পরিকাঠামো এবং আধুনিক পরিবহনের সহযোগী হয়ে উঠবে।

Tarakeswar Rail Ministry Railway Ministry Train
Advertisment