গত ৭৬ বছর ধরে যে স্বপ্ন অধরা থেকেছিল, এবারের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে কুলতলিবাসীর সেই স্বপ্ন পূরণ হল। ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন, রবিবার কুলতলিবাসী পেল রাজ্য সরকারের বিশেষ উপহার- মৈপীঠ থেকে ধর্মতলা বাস পরিষেবা। শুধু তাই নয়, কুলতলিবাসীর স্বপ্ন আরও উসকে দিয়ে এখানে সরকারি উদ্যোগে বাস টার্মিনাস থেকে অতিথিনিবাস গড়ে তোলারও আশ্বাস দিয়েছে রাজ্য সরকার।
Advertisment
রাজ্য এক, দুটোই দক্ষিণবঙ্গে। তবুও কুলতলি থেকে কলকাতা যেতে কপালের ঘাম পায়ে পড়ে সুন্দরবনবাসীর। সেই কষ্ট ৭৭ বছরের স্বাধীনতা দিবসের ঠিক আগে অনেকটাই ঘুচল। এতদিন, কলকাতায় কোনও কাজ থাকলে সুন্দরবনের কুলতলি ও মৈপীঠবাসী বাড়ি থেকে বের হতেন আগের দিন। কারণ, আর কিছুই না। সুন্দরবন থেকে কলকাতা যাতায়াতের পরিবহণ ব্যবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। কাছাকাছি কোথাও যাওয়ার জন্য অটো, টোটোই ছিল মূল ভরসা। আর, কলকাতা পৌঁছতে যাত্রীদের গুণতে হত অনেক টাকা। তা-ও তাঁরা ঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে পারতেন না।
আর, তাই সরাসরি মৈপীঠ থেকে কলকাতা যাতায়াতের বাস সুন্দরবনের এই অঞ্চলের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের চাহিদা। সেই চাহিদাই পূরণ হল রাজ্য সরকারের পরিবহণ রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডলের উদ্যোগে। দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার মৈপীঠ থেকে ধর্মতলা রুটে চালু হল। ভাড়া ৮৭ টাকা। অবশ্য উদ্বোধন ১৪ আগস্ট হলেও স্বাধীনতা দিবসে, ১৫ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে এই বাসের যাত্রা শুরু হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণ রাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ মণ্ডল ও কুলতলির বিধায়ক গণেশচন্দ্র মণ্ডল। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পঞ্চায়েতস্তরের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দিলীপ মণ্ডল তাঁর বক্তব্যে জানান, রাজ্য সরকারের আশা এই বাস আগামী দিনে মৈপীঠের পর্যটনে আরও গতি আনবে। সেকথা মাথায় রেখেই মৈপীঠে একটি বাস টার্মিনাস-সহ সরকারি অতিথিনিবাস বানানোর পরিকল্পনাও সরকারের আছে বলেই মন্ত্রী জানিয়েছেন।