শনিবার রাজ্যের বুকে আছড়ে পড়েছিল ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। দুর্যোগের মোকাবিলা ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তা নজরে রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার রাতভর কন্ট্রোলরুমে বসে তদারকি করেন সবকিছুর। এতেই শেষ নয়। উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে আজ বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। টুইট করে নিজেই একথা জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা, বকখালি এলাকা বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দিশাহারা। সোমবার, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানেই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। উপদ্রুত এলাকার ত্রাণ ও পুনর্বাসন নিয়ে কাকদ্বীপের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। আগামী ১৩ই নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। টুইটে জানিয়েছেন তিনি।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবে লন্ডভন্ড দুই চব্বিশ পরগনা। ব্যাপক ভাবে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে দুই মেদিনীপুরেও। বুলবুলের দাপটে ইতিমধ্যেই উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরে বেশ কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। বুলবুলের দাপটে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন পূর্ব মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। অধিকাংশ জায়গাতেই রাস্তাঘাট ভেঙে গিয়েছে। উপড়ে গিয়েছে অসংখ্য গাছ। ধসে গিয়েছে মাটির বাড়ি। গাছ পড়ে আটকে গিয়েছে অনেক রাস্তা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে চাষের কাজেও। পূর্ব মেদিনীপুরে ধান ও পান চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: বুলবুল মোকাবিলায় ‘তৎপর’ মমতার প্রশংসায় রাজ্যপাল
ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে বুলবুল তাণ্ডবে ক্ষয় ক্ষতির খবর প্রশাসনের সর্বোচ্চস্তরে পৌঁছে গিয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বাংলায় ৭,৮১৫ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ৮৭০ গাছ উপড়ে গিয়েছে। ৯৫০ ফোন টাওয়ার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরে একটি আইসিডিএস সেন্টার।
বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকার সামগ্রিক অবস্থা জানতে চেয়ে রবিবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। খোঁজখবর নেওয়ার পর কেন্দ্রের তরফে রাজ্যের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন মোদী। রাজ্যপাল ধনকড়ও টুইটে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রীর উগদ্যোগী ভূমিকার প্রশংসা করেন।