গরমে কাহিল বাংলার বুকে ক্ষণিকের বৃষ্টির জেরে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে ঠিকই, কিন্তু পুরোপুরি অস্বস্তি কাটছে না। দহনজ্বালা মেটাতে এখন তাই বাংলার ভরসা বর্ষা। হাতে আর মাত্র ক’টা দিন। তারপরই ক্যালেন্ডারে আসবে জুন মাস। জুন মানেই শহরে বর্ষার আসার সময়। কিন্তু এখানেই খানিকটা বঙ্গবাসীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। কারণ, বর্ষা নিয়ে মৌসম ভবনের পূর্বাভাস। কেরালায় এবার স্বাভাবিক সময়ের ৫ দিন পর বর্ষা ঢুকছে। এ দেশে প্রথম কেরালাতেই প্রতিবছর পা রাখে। কিন্তু সেখানেই যদি বর্ষা ঢুকতে দেরি করে তাহলে বাংলায় কী হবে? বাংলায় কি আরও দেরিতে বর্ষা আসবে?
যদিও আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জি কে দাস কেরালায় বর্ষা ঢোকার সঙ্গে কলকাতায় বর্ষা ঢোকার কোনও সম্পর্ক নেই বলেই জানিয়েছেন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা বলেন,‘‘কেরালায় দেরিতে বর্ষা এলে, বাংলায় কোনও প্রভাব পড়বে না। ১৮-১৯ মে নাগাদ আন্দামানের কিছু অংশে বর্ষা ঢুকতে পারে। তবে কেরালায় দেরিতে আসবে বলে যে বাংলায় দেরিতে আসবে, তার কোনও মানে নেই’’। বাংলায় কবে আসছে বর্ষা? জবাবে অধিকর্তা অবশ্য বললেন, ‘‘এতদিন আগে থেকে সেটা বলা সম্ভব নয়’’।
আরও পড়ুন: কেরালায় দেরিতে আসছে বর্ষা
অন্যদিকে, আগামী কয়েকদিন গা জ্বালানি গরম থেকে রেহাই পেতে চলেছে বঙ্গবাসী। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানিয়েছেন, ‘‘খুব একটা বেশি গরম থাকবে না। আগামী কয়েকদিন কলকাতার তাপমাত্রা থাকবে ৩৬-৩৭ ডিগ্রির মাঝামাঝি।’’ একইসঙ্গে আজও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে হাওয়া অফিস। আজ সন্ধের পর কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে, তবে সম্ভাবনা কম। উল্লেখ্য, বুধবারও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছিল আবহাওয়া দফতর। যদিও শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি।
এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৩৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ২৬.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৮৮ শতাংশ, ন্যূনতম ৪৪ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শহরে বৃষ্টি হয়নি।