/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/08/Jadavpur-University.jpg)
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।
যাদবপুরে ছাত্র মৃত্যুর তদন্তে নেমে শনিবার রাতেই আরও তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বর্তমান পড়ুয়া ছাড়াও দুই প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হয়। জেরায় হাড়হিম তথ্য পেয়েছে পুলিশ, খবর সূত্রের। ওই সূত্রের দাবি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অন্য একটি ছাত্র সংগঠনের প্রভাব রুখতে সব ধরনের চেষ্টা শুরু করেছিল অন্য একটি পক্ষ। তবে কি নদিয়ার ছাত্র দখলদারির রাজনীতির বলি? উঠছে এই প্রশ্নই।
যাদবপুর-কাণ্ডে আগেই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত আরও ৩। ছাত্র-মৃত্যুতে ধৃত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সত্যব্রত রাই, বাড়ি নদিয়ার হরিণঘাটায়। গ্রেফতার হয়েছেন যাদবপুরের প্রাক্তনী হিমাংশু কর্মকার, তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই অঙ্কে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন, তাঁর বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে। ধৃত অপর প্রাক্তনীর নাম নাসিম আখতার, তিনি কেমিস্ট্রিতে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই। নাসিমের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মেমারিতে।
আরও পড়ুন- যাদবপুর কাণ্ডের তীব্র নিন্দা সৌরভের, র্যাগিং বন্ধে কী পদক্ষেপ করা উচিত? জানালেন মহারাজ
পুলিশ সূত্রের দাবি, ঘটনার দিন বর্তমান পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে মোটামুটি ১৪ জন উপস্থিত ছিল। নদিয়ার ছাত্রকে তাঁরাই হেনস্থা করেছিল বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যেই ১২ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বাকি জনাকয়েক পড়ুয়ার খোঁজে চালাচ্ছে পুলিশ। তবে নতুন করে ধৃত ৩ জনকে জেরায় হাড়হিম তথ্য মিলেছে।
আরও পড়ুন- ‘টুকরে টুকরে গ্যাং-কে উৎখাত করবই’, যাদবপুর থেকে পুলিশ মঞ্চ সরাতেই হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
পুলিশ সূত্রের দাবি ধৃত সত্যব্রত রাইকে জেরা করে জানা গিয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে একটি ছাত্র সংগঠনের ব্যাপক দাপট রয়েছে। তাদের প্রভাব কমাতেই পাল্টা ছক কষে অপর পক্ষ। সূত্রের আরও আশঙ্কা, সম্ভবত বাংলা বিভাগে দাপট থাকা ওই ছাত্র সংগঠনকে পাল্টা 'চ্যালেঞ্জ' ছুঁড়ে দিতেই শিখণ্ডি হিসেবে কাজে লাগানো হতে পারে নদিয়ার প্রথম বর্ষের ছাত্রকে।
এমনকী ঘটনার দিন ডিন অফ স্টুডেন্টসকে ফোন করাও সেই কৌশলেরই অঙ্গ বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। যদিও পুলিশের তরফে এব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানানো হয়নি।