সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু' র সংস্থা 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস'-এর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব ছিলেন তিনি। ইডি-র এই বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে চাপানউতোর চলছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমেরিকা থেকে রবিবার দেশে ফিরেছেন। আর সোমবার থেকে 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস'-এর একাধিক অফিসে টানা প্রায় ১৮ ঘন্টা তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এতেই 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস'-এর দফতর থেকে উদ্ধার হয় হার্ড ডিস্ক। সেখান থেকেই আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে গোয়েন্দারা। এমনটাই জানা গিয়েছে ইডি সূত্রে। ফলে 'কাকু'র আরও কীর্তি জানতে পারা যাচ্ছে।
কেন্দ্রীয় এজেন্সি সূত্রে খবর, 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস'-এর দফতর থেকে উদ্ধার হয় হার্ড ডিস্কে একাধিক সংস্থার নাম রয়েছে। দেখা যাচ্ছে, এইসব সংস্থার পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করত 'কালীঘাটের কাকু'র সংস্থা 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস'। একাধিক ওইসব সংস্থা থেকেই কোটি কোটি টাকা গিয়েছে 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে'।
আরও পড়ুন- তৃণমূলে নরম রাহুল-অধীররা, বঙ্গে কংগ্রেসের দিশাহীন দশা! চটে লাল কৌস্তভ!
ওইসব সংস্থাগুলোর কী অস্তিত্ব আদৌ রয়েছে? খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে ইডি'র গোয়েন্দারা। দেখা হচ্ছে, কী ধরণের পরামর্শ ওইসব সংস্থাগুলোকে দেওয়া হত 'কাকু'র ,সংস্থার পক্ষ থেকে। হার্ড ডিস্কে উল্লেখিত একাধিক সংস্থার মাধ্যমে 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে' বেআইনিভাবে টাকা লেনদেন হয়েছে কিনা সেটাই গোয়েন্দাদের আতসকাচে।
আরও পড়ুন- বিরাট ধাক্কা মমতার, পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী তথা পুজোকর্তাকে CBI তলব
গত রবিবারই চিকিৎসা সেরে আমেরিকা থেকে কলকাতায় ফিরেছিলেন তৃণণূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তারপর থেকেই ইডি তল্লাশির গতি বাড়িয়েছিল। যা নিয়ে সরব হয়েযে তৃণমূল। গত মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে নিশানা করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উঠে আসে অভিষেকের নাম। সেখানে উল্লেখ, ২০১২ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সংস্থার সিইও ছিলেন অভিষেক। তিনি এই দায়িত্ব সামলেছেন ২০১২ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন- বহু টালবাহানার পর প্রকাশিত উচ্চ প্রাথমিকের মেধাতালিকা, তবুও নিশ্চিৎ নয় প্রার্থীদের চাকরি
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তি সামনে আসার পরই অভিষেককে নিশানা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স অ্যাকাউন্টে তিনি লিখেছেন, 'কারও স্মৃতি আমি একটু তাজা করে দিতে চাই। যিনি প্রায়ই বলে থাকেন, এজেন্সি তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ দেখাতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলে পড়বেন। ফাঁসির মঞ্চের দরকার নেই তদন্তকারী সংস্থার অফিসে গিয়ে সহযোগিতা করলেই হবে। আশা করি এটাই বিবেক জাগ্রত করার জন্য যথেষ্ট।' পাল্টা নারদ কাণ্ডে কাগজে মুড়ে টাকা নেওয়ার শুভেন্দুর একটি ছবি পোস্ট করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এক্সে লিখেছেন, 'আশা করি কারও বিবেক জাগ্রত করতে এই ছবিই যথেষ্ট। জানতে পারি, আপনি কবে হেঁটে এসেন্সির দফতরে পৌঁছে যাবেন?'