ফের মালদার ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বিপুল টাকা। গতবছর মাছ ব্যবসায়ীর পর এবার দিনমজুরের বাড়ি থেকে লক্ষ লক্ষ টাকার বান্ডিল উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য। হতবাক পুলিশ। মাদক কারবারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বুধবার গভীর রাতে কালিয়াচক থানার মোজামপুর এলাকায় এক দিনমজুরের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। তল্লাশি চালাতে গিয়েই বিছানার নিচে ৫০০ টাকার অসংখ্য বান্ডিল দেখে চোখ কপালে উঠে যায় তদন্তকারী পুলিশকর্তাদের।
অভিযান চালিয়ে পুলিশ প্রায় ৩৩ লক্ষ ৩ হাজার ১০০ টাকা উদ্ধার করেছে। এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মোট দু'জনকে গ্রেফতার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। প্রথমে গ্রেফতার করা হয়, মহম্মদ আশরাফুল শেখকে। তাকে জেরা করে ইব্রাহিম শেখ নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা সম্পর্কে শ্যালক এবং জামাইবাবু।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই দুইজন দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তের জানতে পেরেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া ৩৩ লক্ষ টাকার বেশির পুরোটাই ব্রাউন সুগার বিক্রির বলেও অনুমান করছে পুলিশ। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, পুলিশ বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালায় মহম্মদ আশরাফুল শেখের বাড়িতে। পুলিশের কাছে খবর আসে, অভিযুক্তের বাড়িতে বিপুল পরিমাণ মাদক এবং টাকা মজুত রাখা আছে। কিন্তু অভিযান চালিয়ে মাদক না উদ্ধার হলেও ৩৩ লক্ষ টাকার বেশি নগদ উদ্ধার হয়।
আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২৩: নতুন কর ব্যবস্থায় কি আদৌ আপনি লাভবান হতে চলেছেন?
এদিকে, দিনমজুরের বাড়িতে লক্ষ লক্ষ টাকা উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই গোটা গ্রাম জুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সর্বত্রই চর্চা হচ্ছে অভিযুক্তদের পরিবার নিয়ে। গ্রামবাসীদের একাংশ জানিয়েছেন, সাদামাটা পরিবার আশরাফুলদের। তেমন মেলামেশা ছিল না। মাঝে মধ্যে ভিন্ন রাজ্যে দিনমজুরির কাজ করতে যেতেন অভিযুক্তরা। কিন্তু ওদের বাড়ি থেকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হবে তা কেও ভাবতে পারেননি।
পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, বেআইনি ভাবে টাকা মজুত রাখার ঘটনায় দু'জনকে গ্রেফতার করেছে কালিয়াচক থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ধৃতেরা মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি পুরো ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।