Advertisment

মাসিক চুক্তিতে দত্তক পশুপাখি, নয়া উদ্যোগে আয় বেড়েছে চিড়িয়াখানার

অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও একবছরের টাকার অঙ্কের কারণে দত্তক নিতে পিছপা হতেন, এবার তাদের কথা মাথায় রেখে মাসিক ভিত্তিতে পশুপাখি দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

author-image
Sayan Sarkar
New Update
NULL

এখন দত্তক নিলে নামের সঙ্গে থাকবে ছবিও। নয়া ব্যবস্থা আলিপুর চিড়িয়াখানার

চিড়িয়াখানা সব সময় সকলের কাছেই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। বাঘ ভাল্লুক, সিংহ, অ্যানাকোন্ডা দেখতে সারাবছরই ভিড় লেগেই থাকে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর মানুষের মধ্যে পশুপাখি দত্তক নেওয়ার প্রবণতা আগের থেকে বেড়েছে অনেকাংশেই।

Advertisment

এবিষয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশিস সামন্ত বলেন, “আগে একবছরের চুক্তি অনুসারে পশুপাখি দত্তক নিতে পারতেন সাধারণ মানুষজন। মানুষের মধ্যে আরও আগ্রহ বাড়াতে মাসিক ভিত্তিতে দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে আর তাতেই মিলেছে সাড়া”।

তিনি বলেন, “অনেকেই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও একবছরের টাকার অঙ্কের কারণে দত্তক নিতে পিছপা হতেন, এবার তাদের কথা মাথায় রেখে মাসিক ভিত্তিতে পশুপাখি দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থা চালু করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়াতে আমরা দত্তক নেওয়া মানুষের নামের সঙ্গে ছবিও ব্যবহার করছি। আগে যেখানে দত্তক নিলে কেবল নাম এবং ঠিকানা লেখা থাকত, সেখানে এখন নাম ঠিকানার সঙ্গে সঙ্গে যিনি দত্তক নিয়েছেন তার ছবিও সাইন বোর্ডে টানানো হচ্ছে”।

তাঁর কথায়, “নতুন ব্যবস্থাতে সাফল্য এসেছে। প্রতিদিনই মানুষজন আসছেন, দত্তক নেওয়ার ব্যপারে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করছেন, আমরা সবদিক বিবেচনা করে আবেদনকারীদের পশুপাখি দত্তক দেওয়ার ব্যবস্থা করছি”।

মাসিক ভিত্তিতে দত্তক নেওয়া ব্যবস্থা চালু করার ফলে চিড়িয়াখানার আয়ও বেড়েছে আগের থেকে অনেকটাই। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দত্তক নিয়েছেন মোট ৮৬ জন। আর তা থেকে আয় হয়েছে ১১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা। মাসিক ভিত্তিতে দত্তক নেওয়ার ব্যবস্থার ফলে স্কুল ও কলেজ পড়ুয়ারাও তাতে সামিল হচ্ছেন বলেই জানিয়েছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সেই তালিকায় রয়েছেন অনেকে সেলেব থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।

চিড়িয়াখানা সূত্রে জানানো হয়েছে শেষ রিপোর্ট অনুসারে একটি ‘White peafowl’ পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে দত্তক নিয়েছেন মৌমিতা রায়। সেই সঙ্গে জানা গিয়েছে গত ফেরুয়ারিতে দত্তক নেওয়া পাখির সংখ্যা বেড়েছে আগের থেকে অনেকটাই।

মাসিক ভিত্তিতে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া চালু করাতেই যে এই সাফল্য তা এক কথায় মেনে নিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে আলিপুর চিড়িয়াখানার তরফে জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যায় মানুষ যাতে মাসিক অথবা বার্ষিক চুক্তি অনুসারে পশুপাখি দত্তক নিতে পারেন সেব্যাপারে ভাবনা চিন্তা চালু রেখেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।

alipore zoo adoption
Advertisment