বিজেপির দুই সাংসদ সুকান্ত মজুমদার ও লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বার বার আটকাচ্ছে পুলিশ। রামনবমীর থেকে শিক্ষা নিয়ে হনুমান জয়ন্তীতে শান্তি বজায় রাখতে তৎপর পুলিশ প্রসাশন। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে তাই এদিন বাঁশবেড়িয়ে যাওয়ার পথে পুলিশ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে আটকে দেয়। উর্দিধারীদের সঙ্গে এরপর বিতর্কে জড়াল সাংসদ। তবে তাঁকে এগোতে দেওয়া হয়নি।
হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। ওই সাংসদীয় সীমানার অন্তর্ভুক্ত বাঁশবেড়িয়া। সেখানেই ফলবাজারে হনুমান জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন লকেট। কিন্তু অনুষ্ঠানস্থলের আধ কিলোমিটার আগে বড়পাড় মোড়ে সাংসদকে আটকে দেন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের আধিকারিকরা। লকেট চট্টোপাধ্যায়কে জানানো হয় গন্ডগোল রুখতেই তাদের এই পদক্ষেপ।
সেই সময়ই গাড়িতে বসেই হনুমান জয়ন্তীর অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পত্র বার করে পুলিশকে দেখান সাংসদ। বলেন, 'আমাকে ওরা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তাই যাচ্ছি। আপনারা বলেছেন বহিরাগত হলে যেতে পারবে না। কিন্তু আমি তো এখানকার সাংসদ। তাহলে বহিরাগত কীভাবে হচ্ছি?' জবাবে পুলিশ কর্তা বলেন, 'আপনাকে বহিরাগত বলছি না। কিন্তু অপ্রীতিক ঘটনা রুখতেই আপনাকে এখানে আটকানো হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মেনেই সবটা হচ্ছে।'
তীব্র বাদানুবাদের পরও অবশ্য লকেট চট্টোপাধ্যায়কে বাঁশবেড়িয়ে যেতে দেয়নি পুলিশ। প্রতিবাদে বড়পাড় মোড়েই ধরনায় বসেন সাংসদ। রাস্তায় বসেই পড়েন হনুমান চলিশা। ফোনে নালিশ করেন রাজ্যপালকে। সঙ্গে ছিল তাঁর অনুগামীরা। লকেট বলেন, 'আমি সাংসদ হয়ে বহিরাগত হয়ে গেলাম। তাহলে ইনসাইডার কারা। আমি রাজ্যপালকে সব জানিয়েছি। উনিও বলছেন এটা তো হতে পারে না। আমার জন্য তো গন্ডগোল হয়নি। আসলে যারা পুজো করে তাদেরই সব গন্ডগোলের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। আমাদেরই এসব করছে তাহলে সাধারণ মানুষের কী অবস্থা ভেবে দেখুন। এই সরকারের কাছে নির্দিষ্ট একশ্রেণির মানুষই শুধু প্রাধান্য পাবেন।'
এরআগে সুকান্ত মজুমদারকে রিষড়া হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার জন্য যেতে দেয়নি পুলিশষ মঙ্গলবার তাঁকে আটকানো হয় শ্রীরামপুরে। ওইদিনই বালি থেকে লোকাল ট্রেনে রিষড়া গিয়েছিলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তবে স্টেশনের বাইরে সাংসদকে বেরতে দেয়নি পুলিশ। যা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁর তীব্র বচসা হয়। স্টেশনেই ধরনায় বসেন তিনি। বুধবার চুঁচুড়া ঘড়ির মোড় থেকে দুপুর বারোটা নাগাদ সিপি অফিস পর্যন্ত লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি মিছিল যায় রিষড়ার অশান্তির প্রতিবাদে। সেই মিছিলও আটকে দেয় চুঁচুড়া কমিশনারের নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী।