/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/mimi-759.jpg)
ত্রাণ নিয়ে দুর্গত এলাকায় পৌঁছলেন মিমি। ছবি- ফেসবুক
বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়েছে রাজ্যের একাধিক উপকূলবর্তী এলাকা। কারও মাথার উপর থেকে উড়ে গিয়েছে ছাদ, তো কারও আবার ভেঙে পড়েছে বাড়ি। এবার দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। দক্ষিণ ২৪ পরগণার রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় ত্রাণ পৌঁছেদিলেন যাদবপুরের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি। তিনি বলেন, "সেভাবে আমার লোকসভা অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্থ না হাওয়ার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ...তাও বুলবুল ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় আজ আমি গিয়েছিলাম, সাহায্য ও ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য...এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এবং আমাদের কর্মী ও নেতৃত্ববৃন্দকে!"
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ দক্ষিণ ২৪ পরগণার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সোমবার কাকদ্বীপে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ত্রাণ এবং পুনর্বাসনের কাজ খতিয়ে দেখে প্রশাসনিক বৈঠকও সারেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের ভয়াবহতার পর উত্তরবঙ্গ সফর বাতিল করে আজ বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। কাকদ্বীপের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীদের আশ্বস্ত করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সরকারের তরফে সব রকম সাহায্য করা হবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে।”
আরও পড়ুন- ‘সরকার পাশে আছে’, বুলবুল বিধ্বস্ত এলাকায় বরাভয় মমতার
সোমবার প্রথমে হেলিকপ্টারে গোটা এলাকা পরিদর্শন করে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক থেকে জেলাশাসক, নেতা, কর্মীদের নির্দেশও দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রচুর ঘর-বাড়ি ও কৃষি জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাজ্য সরকারের আবাস যোজনার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে বলব জেলা প্রশাসনকে। যা ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে তা পূরণের চেষ্টা করতে হবে। আমাদের তরফ থেকে যতটা করা যায়, সব সাহায্য করা হবে।”