Advertisment

মৃণাল সেনের মরদেহ রাখা হল পিস ওয়ার্ল্ডে

বছরের শেষলগ্নে আরও এক নক্ষত্রপতন। প্রয়াত মৃণাল সেন। রবিবার সকালে নিজের বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন পরিচালক।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
mrinal sen, মৃণাল সেন

মৃণাল সেন, ফাইল ছবি।

চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন প্রয়াত। রবিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁর জীবনাবসান হয়, পরিবার সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫। বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন তিনি। তাঁর স্মৃতিভ্রংশ হয়েছিল বলেও খবর।

Advertisment

পিস ওয়ার্ল্ডে রাখা থাকবে পরিচালকের মরদেহ। ছেলে শিকাগো থেকে ফিরলেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। রবীন্দ্র সদন, নন্দনে শায়িত থাকবে না পরিচালকের মরদেহ, এমনটাই জানিয়েছেন পারিবারিক চিকিৎসক। রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পরিবারের ‘ইচ্ছে অনুযায়ীই’ প্রয়াত পরিচালকের শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।

মৃণাল সেনের কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, ‘‘কার্ডিও রেসপিরেটরি ফেলিওরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ওঁর। চিকিৎসককে ডাকা হয়েছিল। ওঁর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখার পর ওঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ওঁর ইচ্ছে অনুযায়ীই মরদেহ অন্য কোথাও রাখা হবে না। ওঁর ছেলে কুণালের আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে। কুণাল ফিরলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ অন্যদিকে, পরিচালকের দেহদান করা হবে কিনা, সে বিষয়ে তাঁর ছেলে শহরে ফিরলেই স্পষ্ট করে জানানো হবে বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।

মৃণাল সেনের ইচ্ছে ছিল, তাঁর মৃত্যুর পর, সরকার বা জনসাধারণের পক্ষ থেকে কোনও ফুল বা মালা যেন তাঁকে দেওয়া না হয়। সেকারণেই প্রয়াত পরিচালককে কোনও ফুল বা মালা দেওয়া হয়নি, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসক।

src="https://www.youtube.com/embed/TIvjavW7u1w" width="100%" height="415" frameborder="0" allowfullscreen="allowfullscreen">

১৯২৩ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন এই বাঙালি পরিচালক। ১৯৮৩ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয় পরিচালককে। রাজ্যসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। মৃণাল সেনের প্রয়াণে শোকের ছায়া চলচ্চিত্র মহলে।

আরও পড়ুন, ”মৃণাল সেন না থাকলে আমি মাধবী হতাম না”

mrinal sen, মৃণাল সেন মৃণাল সেনের প্রয়াণে শোকের ছায়া চলচ্চিত্র মহলে। ছবি: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

১৯৫৫ সালে ‘রাতভোর’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা শুরু মৃণাল সেনের। সে ছবিতে অভিনয় করেছিলেন মহানায়ক উত্তম কুমার। প্রথম ছবিতে তেমন সাফল্য না পেলেও পরের ছবি ‘নীল আকাশের নীচে’-তে নিজের জাত চেনান তিনি। এরপর ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবির হাত ধরে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি মেলে মৃণাল সেনের। ‘ভুবনসোম’, ‘কোরাস’, ‘মৃগয়া’, ‘আকালের সন্ধানে’, ‘খারিজ’, ‘ক্যালকাটা ৭১’ মতো সিনেমাগুলি চিরকাল সিনেপ্রেমীদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে থাকবে। এই ছবিগুলি জাতীয় পুরস্কার এনে দিয়েছে মৃণাল সেনকে। ২০০২ সালে শেষবার ক্যামেরার পিছনে দাঁড়িয়েছিলেন পরিচালক, ছবির নাম ‘আমার ভুবন’।

জাতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি ১২টি আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়েছেন চলচ্চিত্রের এই মহীরূহ। ‘কোরাস’, ‘পরশুরাম’ ছবির জন্য মস্কো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল ‘সিলভার প্রাইজ’ পেয়েছেন পরিচালক। মস্কোর পাশাপাশি, বার্লিন, ভেনিস, কান, শিকাগো আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও সম্মানিত হন তিনি। ‘খারিজ’ ছবির জন্য কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জুরি পুরস্কার পান মৃণাল সেন।

মৃণাল সেনের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ ফিল্ম স্টাডিজের অধ্যাপক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘মৃণাল সেন ভারতীয় ছবিতে নয়া মোড় এনেছিলেন। ক্লাসিক্যাল মডার্ন ইন্ডিয়ান সিনেমা বলতে যা বুঝি, তা সবটাই বুঝিয়েছেন মৃণাল দা। ‘ভুবনসোম’ ছবির মাধ্যমে বাংলা ছবিতে নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন। গ্রাম্য জীবনযাপনকে বারবার তিনি তাঁর ছবিতে তুলে ধরেছিলেন। শহরের নানা সমস্যারে অনুভব করে তা ফুটিয়ে তুলছেন পর্দায়। ‘অকালের সন্ধানে’, ‘বাইশে শ্রাবণ’, ‘ভুবনসোম’, একের পর এক মাইলস্টোন তৈরি করেছেন।’’

পরিচালকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃণাল সেনের মৃত্যু চলচ্চিত্র দুনিয়ায় ‘বড় ক্ষতি’ বলে টুইট করেছেন মমতা।

মৃণাল সেনের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর ‘মৃণাল জেঠু’কে হারিয়ে শোকাহত ‘বুম্বা’। টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘‘আমাদের সবার জন্য বড় ক্ষতি।’’

প্রবাদপ্রতিম পরিচালকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর ‘মৃণাল দা’র প্রয়াণে ‘গভীরভাবে শোকাহত’ ইয়েচুরি।

শোকপ্রকাশ করেছেন মহম্মদ সেলিমও

মৃণাল সেনের প্রয়াণে শোকার্ত রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ‘বিশ্ব চলচ্চিত্রের অপূরণীয় ক্ষতি’ বলে বর্ণনা করেছেন রাষ্ট্রপতি।

পরিচালকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোর ও রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে।

মৃণাল সেন আর নেই...টুইটারে শোকপ্রকাশ টলি তারকা মিমি চক্রবর্তী ও তনুশ্রীর। শোকাহত পরিচালক প্রতীম ডি গুপ্তও।

মৃণাল সেনের জীবনাবসান, শোকপ্রকাশ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী ও রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের।

মৃণাল সেন নিজেই একজন ‘প্রতিষ্ঠান’, টুইট অভিনেতা মনোজ বাজপেয়ীর।

প্রবাদপ্রতিম পরিচালকের প্রয়াণে শোকাহত আজকের পরিচালক ওনির।

চলচ্চিত্রের মহীরূহের জীবনাবসানে শোকপ্রকাশ কংগ্রেসের মুখপাত্র মণীশ তিওয়ারির।

মৃণাল সেনের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ মালওয়ালম অভিনেতা মোহনলাল।

পরিচালকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের।

মৃণাল সেনের জীবনাবসান, টুইটারে শোকপ্রকাশ অমিতাভ বচ্চনের।

‘‘বাংলা চলচ্চিত্রের এক অন্যতম নক্ষত্র পতন হল’’, টুইট পরিচালক রাজ চক্রবর্তীর।

‘‘ওঁর ছবি প্রেরণা জোগায়’’, টুইট পরিচালক সুজিত সরকারের।

প্রয়াত মৃণাল সেন, শোকপ্রকাশ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির।



মৃণাল সেনের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ‘‘প্রজন্মের পর প্রজন্ম তাঁর কাজকে সমাদর করেছে’’, টুইট মোদীর।



‘‘আমার জীবনে মৃণাল দা’র অবদান ভুলতে পারব না’’, প্রতিক্রিয়া অভিনেত্রী মমতাশংকরের।

মৃণাল সেনের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ টলি অভিনেতা জিৎ ও সায়ন্তিকার।

প্রয়াত মৃণাল সেন, শোকপ্রকাশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের।

পরিচালকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ টলি অভিনেত্রী পাওলি দামের।

‘‘শেষ সম্রাট’’, টুইট পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের।

tollywood Mrinal Sen
Advertisment