নতুন বছরের শুরুতে অস্বস্তি বাড়ল মুকুল রায়ের। বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিল আদালত। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের ঘটনায় মুকুলের বিরুদ্ধে নতুন করে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই মামলায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধেও সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। উল্লেখ্য, সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছিল একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুলের। এই খুনের ঘটনায় মুকুলের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে মুকুল রায় বলেন, ‘‘মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদত। মমতা ভাল করে জানেন খুনের ঘটনায় মুকুল যুক্ত নয়, তবুও লোকেদের দিয়ে জেনেবুঝে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এসব করাচ্ছেন’’। এ প্রসঙ্গে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে বলেন, ‘‘রাজনৈতিক চক্রান্ত করা হচ্ছে। তবে বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রয়েছে। তদন্তে সহযোগিতা করব’’।
আরও পড়ুন: ‘মমতাকে মিসইউজ করেছেন মুকুল রায়’
সত্যজিৎ বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: ‘মোদী কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত?’ চরম কটাক্ষ মমতার
সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় মুকুলের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি সত্যজিতের স্ত্রী তথা উনিশের লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাটের তৃণমূলপ্রার্থী রুপালি বিশ্বাস। এ প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে তিনি শুধু বলেন, ‘‘আমি শুনেছি আদালত এমন নির্দেশ দিয়েছে। এখনই এ ব্যাপারে কিছু বলব না’’।
কী ঘটেছিল?
গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর ঠিক আগের দিন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। জনবহুল এলাকায় এই বেপরোয়া আক্রমণে হতভম্ব হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। স্বভাবতই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় সারা রাজ্যে। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান উতোর। বিধায়ক হিসেবে একজন নিরাপত্তারক্ষী পেতেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। খুনের দিন ছুটিতে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। নিরাপত্তারক্ষীর ছুটির সুযোগ নিয়েই বিধায়ককে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছিল, সেদিন সন্ধে ৭টা থেকে ৮ টার মধ্যে ঘনঘন লোডশেডিং হয়েছে ওই এলাকায়। স্বভাবতই এই খুন পরিকল্পনা মাফিক কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।