খুনের মামলায় বিপাকে মুকুল রায়। বৃহস্পতিবার ভবানী ভবনে বিজেপি নেতাকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। রানাঘাটে তৃণমূল বিধায়ক খুনের ঘটনায় মুকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে খবর।
এর আগে এই ঘটনায়, মুকুলের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুনের ঘটনায় মুকুলের বিরুদ্ধে নতুন করে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই মামলায় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধেও সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। উল্লেখ্য, সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনে নাম জড়িয়েছিল একদা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুলের। এই খুনের ঘটনায় মুকুলের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘করোনায় কানন যেন সাবধানে থাকে’, বৈশাখীকে পরামর্শ উদ্বিগ্ন মমতার
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের একাধিক নেতাকে বিভিন্ন মামলায় জড়ানো হয়েছে। মুকুলদা তৃণমূলে ছিলেন যতদিন কোনও মামলা ছিল না’’।
আরও পড়ুন: শোভন চাইলে আমি হাসিমুখে সরে যাব: রত্না
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর ঠিক আগের দিন একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। সেখানেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। জনবহুল এলাকায় এই বেপরোয়া আক্রমণে হতভম্ব হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। স্বভাবতই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় সারা রাজ্যে। শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান উতোর। বিধায়ক হিসেবে একজন নিরাপত্তারক্ষী পেতেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। খুনের দিন ছুটিতে ছিলেন নিরাপত্তারক্ষী। নিরাপত্তারক্ষীর ছুটির সুযোগ নিয়েই বিধায়ককে গুলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছিল, সেদিন সন্ধে ৭টা থেকে ৮ টার মধ্যে ঘনঘন লোডশেডিং হয়েছে ওই এলাকায়। স্বভাবতই এই খুন পরিকল্পনা মাফিক কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন