Mukul Roy Alchemist Chit Fund Case: অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ড মামলায় বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়ের বাড়িতে হানা দিল ইডি। সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ককে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি অ্যালকেমিস্ট চিট ফাণ্ড মামলায় মুকুল রায়কে ইডি-র তরফে দিল্লির দফতরে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অসুস্থার দরুন তিনি রাজধানীতে হাজির থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন। এরপরই দিল্লি থেকে ইডি-র দুই অফিসার কলকাতায় আসেন। এরপর সোমবার মোট তিনজন ইডি গোয়েন্দা মুকুল রায়ের কাঁচরাপাড়ার বাড়িতে যান। সেখানেই তাকে দু'ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
প্রায় ১৯০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে অ্যালকেমিস্ট মামলায়। এর আগে অ্যালকেমিস্ট মামলায় ওই সংস্থার কর্ণধার কে ডি সিংকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার ওই মামলায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা মুকুল রায়কেও জিজ্ঞাসাবাদ করলেন।
ইডির তলব প্রসঙ্গে আগেই মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেন, “আমরা প্রথম দিন থেকেই বলে এসেছি সহযোগিতা করব। আমরা চিঠি দেওয়ার পর ওরা বলে বাড়িতে আসবে। আজ এসেছিল। কথাবার্তা বলে গিয়েছে। ওরা আড়াই তিন ঘণ্টা ছিল। পুরোপুরি সহযোগিতা করা হয়েছে। আমি বাড়িতে ছিলাম না। একটা কাজে বাইরে ছিলাম। শুনেছি ওরা খুশি।”
আরও পড়ুন- Nawsad Siddique Arrest: খাস কলকাতায় গ্রেফতার নওশাদ সিদ্দিকী! ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ISF বিধায়ক
মুকুল রায় যে অসুস্থ, তা অনেক দিন ধরেই প্রকাশ্যে বলছেন পুত্র শুভ্রাংশু। পরিবার সূত্রেই জানা গিয়েছিল, মুকুল স্নায়ুজনিত সমস্যায় ভুগছেন। এর জন্য গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁকে হাসপাতালেও ভর্তি করা হয়েছিল। মুকুলের মাথায় জল জমেছিল বলে সেই সময় জানা গিয়েছিল হাসপাতাল সূত্রে। তার পর থেকেই পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, মুকুল ডিমেনশিয়ায় ভুগছেন। কিছুই মনে রাখতে পারছেন না। তেমন হাঁটচলাও করতে পারেন না ইদানীং। এরপরই আচমকা মুকুলের দিল্লি যাওয়া নিয়ে শোরগোল পড়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে।
ইডি সূত্রে খবর, কে ডি সিংয়ের সংস্থা ছিল অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়ালটি। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে বেআইনিভাবে টাকা তোলার অভিযোগ নিয়ে মামলা হয়েছিল। ইডি ২০১৬ সালে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ ছিল, সেবি-র অনুমতি ছাড়াই ওই সংস্থাটি লগ্নিকারীদের থেকে ১,৯১৬ কোটি টাকা তুলেছে। তদন্তে নেমে ২০১৯ সালে কেডি-র কুফরির রিসর্ট, চণ্ডীগড়ের শো-রুম, হরিয়ানার পঞ্চকুলার সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ ২৩৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে ইডি।