আপাতত স্বস্তি পেলেন মুকুল রায়। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক খুনের ঘটনায় আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত বিজেপি নেতা মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা যাবে না। পাশাপাশি, এই সময়কালে তিনি নদিয়া জেলায় ঢুকতে পারবেন না। বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ মুকুল রায়ের জামিনের শুনানিতে এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেওয়া হয়। পরবর্তী শুনানি ৫ মার্চ।
কষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে হাঁসখালি থানায় এফআইআর দায়ের হয়েছে। এরপরই মঙ্গলবার হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছেন প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মুকুল রায়। বুধবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি মনোজিৎ মণ্ডল জামিন মঞ্জুর না করলেও ওই বিধায়ক খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকটি অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের ওই নির্দেশের ফলে আপাতত স্বস্তিতে বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
মুকুল রায়ের আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আদালত অন্তর্বর্তী নির্দেশে বলেছে, আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত মুকুল রায়কে গ্রেফতার করা যাবে না। এমনকী এই সময়কালে নদিয়ায় প্রবেশও করতে পারবেন না মুকুল রায়। একইসঙ্গে খুনের ঘটনার তদন্তে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে তাঁকে। যতবার পুলিশ তাঁকে তলব করবে, ততবারই সহযোগিতা করতে হবে। তবে মুকুলবাবুকে তলব করতে হবে কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে।
নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস নিজের পাড়াতে গত শনিবার সরস্বতী পুজোর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভর সন্ধ্যায় খুন হয়েছেন। বিধায়ক খুনের ঘটনায় বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের বিরদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, খুনের ঘটনায় ধৃত দুজনই বিজেপির সমর্থক। তাছাড়া মূল অভিযুক্ত তথা পলাতক অভিজিত্ আরএসএসের সক্রিয় সদস্য বলেও শাসকদলের নেতাদের দাবি।