পিএসি চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়। শারীরিক কারণেই দরুণই তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। সোমবার স্পিকারের কাছে ই-মেইল মারফৎ ইস্তফা দিয়েছেন মুকুল রায়। যদিও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার জানিয়েছেন, বৈধ উপায় পদত্যাগ পত্র পেলেই তা গ্রহণ করা হবে। বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর কাছে নয়, মুকুলের ইস্তফাপত্র সম্ভাবত বিধানসভার ই-মেইলে পৌঁছেছে।
গেরুয়া শিবিরের বিধায়ক হলেও একুশে ভোটর পরপরই তৃণমূল ভবনে গিয়েছিলেন স্বপুত্র মুকুল রায়। সেদিন তৃণমূল ভবনে ছিলেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের সর্বভারতীয় সাধাণ সম্পাদক অভিষেকও। এরপরই দলবদলের অভিযোগে কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায়ের পদ খারিজের দাবিতে সরব হয় পদ্ম বাহিনী।
এরমধ্যেই গত জুলাইয়ে মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে বিজেপির সঙ্গে স্পিকারের প্রবল টানাপোড়েন চলে। মুকুল দলত্যাগী বিধায়ক বলে দাবি করে বিজেপি। যা মানেনি বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের সিদ্ধান্তেই অনড় থাকেন তিনি। ফলে মামলা হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। শীর্ষ আদালত স্পিকারকেই নির্দেশ দেয় সিদ্ধান্ত ঘোষণার। শেষমেশ মুকুল রায়কে বিজেপির বিধায়ক বলেই রায় দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রবল টানাপোড়েনের মধ্যেই অবশেষে বিধানসভার পিএসি-র চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মুকুল রায়।
গতবছর বিজেপির প্রস্তাব ছিল বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়িকে পিএসি কমিটির চেয়ারম্যান করা হোক। কিন্তু সেই প্রস্তাব স্পিকার গ্রাহ্য করেননি। এবার কী চেয়ারম্যান পদে দেখা যাবে বিজেপির অশোক লাহিড়িকে, নাকি অন্য কোনও বিধায়ককেই চেয়ারম্যান করা হবে? মুকুলের ইস্তফার পর আপাতত এই প্রশ্নেই জোর কৌতুহল। প্রশ্ন উঠছে যে, মুকুল রায়কেই আবার ওই পদে বসানো হবে না তো?
আরও পড়ুন- বিরাট ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, আশা-অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের এ যেন স্বপ্ন-পূরণ!