মুকুল রায় কেন দিল্লিতে? আপাতত এই প্রশ্নেই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে এবার সাংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়।
কী বলেছেন শুভ্রাংশু?
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই মুকুল রায় নিখোঁজ বলে হইহই পড়ে যায়। রাতে অবশ্য মুকুল রায়কে দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে তিনি রাজধানীতে গিয়েছেন বলে জানা য়ায়। মুকুল রায় নিজেই দাবি করেন, এমনীই তাঁর এই দিল্লি সফর। কিন্তু বাবার এই সফর সম্পর্কে নাকি ছেলে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন শুভ্রাংশু রায়। দু'টি নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন থানায়। তিনি বলেন, 'আমি এয়ারপোর্ট এবং থানাকে চিঠি লিখেছিলাম। জানিয়েছি, দু’জন আমাকে না জানিয়ে বাবাকে নিয়ে চলে গিয়েছেন। আমি থানার আইসি এবং এরায়পোর্টের ম্যানেজারকে বলেছিলাম বাবাকে বিমান থেকে নামিয়ে আনতে। কিন্তু তা হয়নি।'
কেন এই টানাপোড়েন? শুভ্রাংশু রায়ের দাবি, 'আমার ব্যক্তিগত মত, অভিষেককে হেয় প্রতিপন্ন করতেই কোনও একটি রাজনৈতিক দল খেলায় নেমেছে। কারণ এখন নিশানা অভিষেক। তিনিই দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।' পাশাপাশি বড় খেলার কথা উল্লেখ করেছেন মুকুল-পুত্র। বলেন, 'গতকাল একটি এজেন্সির মারফৎ এক অবাঙালি ব্যক্তিকে বলা হয়েছিল, মুকুল রায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসার জন্য। কারণ এখন বাবার হাতে টাকা নেই। বর্তমানে বাবার মাসিক আয় প্রায় ২১ হাজার টাকা করে।'
আরও পড়ুন- মুকুল দিল্লি যেতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা
শুভ্রাংশুর দাবি, 'বাবা মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। ২০১১ সালের মুকুল রায় ও ২০২৩ সালের মুকুল রায়ের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। বাবা ইনসুলিন নেন, সেটা নিচ্ছেন কিনা জানি না। দিনে ১৮টা করে ওষুধ খান, সেটার কী হচ্ছে তাও জানা নেই। আমার সঙ্গে তো বাবার কোনও কথাও হয়নি। তাই বলব একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে যদি কোনও একটি রাজনৈতিক দল টানাটানি করে তবে সেটা নোংরা খেলা হচ্ছে। একজন সুস্থ মানুষের বিজেপিতে যোগদান আর অসুস্থ মানুষের বিজেপিতে যোগদানে পার্থক্য আছে।'
জল্পনা মুকুল রায় ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখাবেন। এতে বাংলার শাসক দলের কী আদৌ কোনও প্রভাব পড়বে? শুভ্রাংশুর মতে, 'একজন অসুস্থ মানুষকে কোনওদলে যোগদান করাতেই পারে। ২০২১ সালেও মুকুল রায় বিজেপিতে ছিলেন। ফলাফল কী হয়েছে সকলের জানা আছে।'
এদিকে মুকুল রায় ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনায় শুভ্রাংশুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পীযূষ কানোরিয়াকে তলব করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। তলব পেয়ে থানায় পৌঁছান পীযূষ। তাঁকে জেরা চলছে। সূত্রের খবর, মুকুল রায়কে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন এই পীযূষ কানোরিয়াই।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'মুকুল রায় শুনি অসুস্থ, এদিকে দিল্লি চলে গেলেন, সেখানে যাসব বলছেন তাতে তো অসুস্থতা তেমন বোঝা যাচ্ছে না। তাই আমি ওনাকে নিয়ে কিছু বলে দায় নিতে নারাজ।' বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বাংলার রাজনীতিতে মুকুল রায়ের আর কোনও গুরুত্ব নেই। ফলে আলোচনা করেও লাভ নেই। কিন্তু প্রার্থনা করব উনি সুস্থ থাকুন।'
'টার্গেট অভিষেক, বাবাকে ৫০ হাজার দিয়ে নোংরা খেলা', দাবি মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশুর
বিস্ফোরক শুভ্রাংশু, দিলেন স্পষ্ট জবাব।
Follow Us
মুকুল রায় কেন দিল্লিতে? আপাতত এই প্রশ্নেই তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপি বিধায়ক মুকুলের দিল্লি যাত্রা নিয়ে এবার সাংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়।
কী বলেছেন শুভ্রাংশু?
সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই মুকুল রায় নিখোঁজ বলে হইহই পড়ে যায়। রাতে অবশ্য মুকুল রায়কে দিল্লি বিমানবন্দরে দেখা গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে তিনি রাজধানীতে গিয়েছেন বলে জানা য়ায়। মুকুল রায় নিজেই দাবি করেন, এমনীই তাঁর এই দিল্লি সফর। কিন্তু বাবার এই সফর সম্পর্কে নাকি ছেলে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেছেন শুভ্রাংশু রায়। দু'টি নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন থানায়। তিনি বলেন, 'আমি এয়ারপোর্ট এবং থানাকে চিঠি লিখেছিলাম। জানিয়েছি, দু’জন আমাকে না জানিয়ে বাবাকে নিয়ে চলে গিয়েছেন। আমি থানার আইসি এবং এরায়পোর্টের ম্যানেজারকে বলেছিলাম বাবাকে বিমান থেকে নামিয়ে আনতে। কিন্তু তা হয়নি।'
কেন এই টানাপোড়েন? শুভ্রাংশু রায়ের দাবি, 'আমার ব্যক্তিগত মত, অভিষেককে হেয় প্রতিপন্ন করতেই কোনও একটি রাজনৈতিক দল খেলায় নেমেছে। কারণ এখন নিশানা অভিষেক। তিনিই দলটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।' পাশাপাশি বড় খেলার কথা উল্লেখ করেছেন মুকুল-পুত্র। বলেন, 'গতকাল একটি এজেন্সির মারফৎ এক অবাঙালি ব্যক্তিকে বলা হয়েছিল, মুকুল রায়ের হাতে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসার জন্য। কারণ এখন বাবার হাতে টাকা নেই। বর্তমানে বাবার মাসিক আয় প্রায় ২১ হাজার টাকা করে।'
আরও পড়ুন- মুকুল দিল্লি যেতেই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার ফেসবুক পোস্ট ঘিরে জল্পনা
শুভ্রাংশুর দাবি, 'বাবা মানসিক ও শারীরিকভাবে অসুস্থ। ২০১১ সালের মুকুল রায় ও ২০২৩ সালের মুকুল রায়ের মধ্যে অনেক ফারাক রয়েছে। বাবা ইনসুলিন নেন, সেটা নিচ্ছেন কিনা জানি না। দিনে ১৮টা করে ওষুধ খান, সেটার কী হচ্ছে তাও জানা নেই। আমার সঙ্গে তো বাবার কোনও কথাও হয়নি। তাই বলব একজন অসুস্থ ব্যক্তিকে নিয়ে যদি কোনও একটি রাজনৈতিক দল টানাটানি করে তবে সেটা নোংরা খেলা হচ্ছে। একজন সুস্থ মানুষের বিজেপিতে যোগদান আর অসুস্থ মানুষের বিজেপিতে যোগদানে পার্থক্য আছে।'
জল্পনা মুকুল রায় ফের তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখাবেন। এতে বাংলার শাসক দলের কী আদৌ কোনও প্রভাব পড়বে? শুভ্রাংশুর মতে, 'একজন অসুস্থ মানুষকে কোনওদলে যোগদান করাতেই পারে। ২০২১ সালেও মুকুল রায় বিজেপিতে ছিলেন। ফলাফল কী হয়েছে সকলের জানা আছে।'
এদিকে মুকুল রায় ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনায় শুভ্রাংশুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পীযূষ কানোরিয়াকে তলব করে এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ। তলব পেয়ে থানায় পৌঁছান পীযূষ। তাঁকে জেরা চলছে। সূত্রের খবর, মুকুল রায়কে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছেন এই পীযূষ কানোরিয়াই।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'মুকুল রায় শুনি অসুস্থ, এদিকে দিল্লি চলে গেলেন, সেখানে যাসব বলছেন তাতে তো অসুস্থতা তেমন বোঝা যাচ্ছে না। তাই আমি ওনাকে নিয়ে কিছু বলে দায় নিতে নারাজ।' বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'বাংলার রাজনীতিতে মুকুল রায়ের আর কোনও গুরুত্ব নেই। ফলে আলোচনা করেও লাভ নেই। কিন্তু প্রার্থনা করব উনি সুস্থ থাকুন।'