শনিবার সকাল থেকে দুপুর। মল্লিকবাজারের ইনস্টিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সে হুলস্থূল কাণ্ড। সকাল ১১টা নাগাদ রোগী ৮ তলার জানলা বেয়ে কার্নিশে চলে যান। সেখান থেকে নীচে ঝাঁপ মারার হুমকি দিতে থাকেন তিনি। দমকল থেকে রোগীর আত্মীয়রা বহু বোঝানো সত্ত্বেও ক্ষান্ত হতে নারাজ ছিলেন তিনি। ততক্ষণে নার্সিংহোমের সামনে রাস্তায় বহু মানুষের ভিড় জমেছে। এভাবেই কাটল ঘন্টা দেড়েক। তারপরই ক্লাইম্যাক্স। প্রত্যক্ষদর্শীদের হাড় হিম করে রোগী ঝাঁপ দিলেন ৮ তলার কার্নিশ থেকে। একেবারে রক্তারক্তি কাণ্ড। আইএনকে সূত্রে খবর, ওই রোগীর নাম সুজিত অধিকারী, সে লেকটাউনের বাসিন্দা।
আপাতত ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন সুজিত অধিকারী। তাঁর মাথায়, বুকে, পায়ে গুরুতর চোট আছে বলে জানিয়েছে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।
কীভাবে ঘটল তোলপাড় ফেলে দেওয়া এই ঘটনা? কীভাবে রোগী ভেতর থেকে কার্নিশে উঠে গেল? কেন সেই সময় দেখভালের জন্য কোনও নার্সিম স্ট্রাফ ওয়ার্ডে ছিলেন না? একাধিক প্রশ্নের মুখে আইএনকে-র রোগী নিরাপত্তা।
আইএনকে-র তরফে ডাঃ অভীক রায়চৌধুরী, সিইও ডাঃ জয়ীতা বসু ও সিইও অর্পিতা মণ্ডলের দাবি, রোগী কার্নিশে উঠে বারবারই ঝাঁপ মারার হুমকি দিচ্ছিলেন। তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টায় কোনও খামতি ছিল না। রোগী সুজিত অধিকারী নাকি বেশ কয়েকবার টাকা পয়সার কথা বলেছিলেন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে তাঁর চিকিৎসা মেডিক্লেম পেমেন্টে হওয়ায় সেসবের কোনও অসুবিধা ছিল না বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। কেন এমন ঘটালেন ওই রোগী? সেটা এখনও সবার কাছেই ধোঁয়াশা।
এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়া হবে এবং অভ্যন্তরীণ তদন্ত হবে বলেও জানিয়েছে আইএনকে কর্তৃপক্ষ।
এদিন ঘটনার পর পরই স্বাস্থ্য দফতর নার্সিংহোমের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটে গেল, কীভাবে কার্নিশে রোগী পৌঁছলেন, কেনই চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁকে নামানো গেল না? তা জানতে চাওয়া হয়েছে।