লটারির টিকিট বিক্রি সেরে বাড়ি ফেরার পথে দুস্কৃতীদের গুলিতে খুন হলেন এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহিতে। মৃত হামিদ আলি খান মাধবডিহির আরুই পঞ্চায়েতের আরিকপুর গ্রামের বাসিন্দা। তৃণমূলের সমর্থক ছিলেন নিহত ব্যক্তি।
Advertisment
মঙ্গলবার রাতে মাধবডিহির ছোট বৈনানের ছাতা দীঘিরকোন এলাকায় নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দুস্কৃতীদের খোঁজে রাতেই মাধবডিহি-সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযানে নেমে পড়ে পুলিশ। বিভিন্ন রাস্তায় শুরু হয় তল্লাশি। যদিও মধ্যরাত পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী দুস্কৃতীদের কেউই ধরা পড়েনি।
রায়না ২ নং ব্লক তৃণমূল সহ সভাপতি শেখ কলিমুদ্দিন ওরফে বাপ্পা জানিয়েছেন, মাধবডিহির ছোট বৈনান বাজারে হামিদ আলি খানের লটারির টিকিট বিক্রির দোকান রয়েছে। তিনি তৃণমূলের একনিষ্ঠ সমর্থক ছিলেন। অন্য দিনের মতোই মঙ্গলবার রাত ১০ টার পর দোকান বন্ধ করে বাইকে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। ব্যবসার টাকার ব্যাগটিও তাঁর সঙ্গেই ছিল।
পথে ছোট দীঘিরকোন এলাকায় বাইকে চেপে আসা তিন দুস্কৃতী হামিদের পথ আটকায়। তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিতে যায়। হামিদ বাধা দিলে দুস্কৃতীরা তাঁর কোমরে গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় হামিদ পথে লুটিয়ে পড়েন। দুস্কৃতীরা হামিদের কাছে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে চম্পট দেয়।
এদিকে, স্থানীয়দের মাধ্যমে এই খবর পেয়ে মাধবডিহি থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। রক্তাক্ত অবস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অন্যদিকে, নিহত লটারি ব্যবসায়ীর পরিচিত এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, লটারিতে ২ লক্ষ টাকা পান হামিদ। সেই টাকা হামিদের কাছে থাকা ব্যাগেই ছিল বলে জানতে পেরে যায় দুষ্কৃতীরা। সেই কারণেই তাঁর উপরে হামলা হতে পারে বলে অনুমান তাঁর।
জানা গিয়েছে, নিহত হামিদ আলি খানের ছেলেরও কিছুদিন আগে দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হামিদের। শোকে ভেঙে পড়েছেন নিহতের স্ত্রী ও কন্যারা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন বলেন, ''এই খুনের সঙ্গে রাজনীতির যোগ নেই। টাকা ছিনতাই করতে গিয়েই দুস্কৃতrরা হামিদ আলি খানকে গুলি করে। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি অপরাধীরা ধরা পড়বে।''