ভাগীরথীর জলের তোড়ে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ওড়াহার ব্রিজের স্লুইস গেট। এর ফলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে লালগোলা থানার দেওয়ানসরাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা । জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে বিঘার পর বিঘা ধানখেত। লঙ্কা ও মরশুমি সবজি চাষও ক্ষতির মুখে । জল ঢোকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি এলাকার ঘর-বাড়ি। খবর পেয়ে ব্রিজ পরিদর্শন করতে ছুটে আসেন জঙ্গিপুর বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়র বকতিয়ার মণ্ডল । আপত্ৎকালীন পরিস্থিতিতে কীভাবে দ্রুত ব্রিজটি সারিয়ে তোলা যায় সেই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে বলে তিনি জানান।
ভাগীরথীর জলকে সেচের কাজে লাগাতে কয়েক দশক আগে ভগবানগোলা থানার সীমান্তবর্তী এলাকার ওড়াহারে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ব্রিজটিতে স্লুইস গেট থাকার কারণে প্রয়োজনে গেট খুলে এলাকায় জল ঢুকিয়ে নেওয়া হয়, আবার জলের চাপ থাকলে গেট বন্ধ করে দিয়ে প্লাবনের হাত থেকে এলাকাকে রক্ষা করা যায় । কিন্তু ব্রিজটি রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ হয়ে ওঠে । দীর্ঘদিন থেকে ব্রিজটির সংস্কারের দাবি তুলে আসছিলেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: গঙ্গা-পদ্মার প্লাবনে জলমগ্ন মুর্শিদাবাদ, জলের তলায় শতাধিক বাড়ি
জলের তোড়ে ব্রিজের একটি গেট ভেঙে গিয়েছে। ফলে আরিজপুর, নারায়ণপুর, জগন্নাথপুর, দেওয়ানসরাই, কাঠগোলা মাঠ,কাজলা,বাথনপাড়া,বিরামপুরের মতো গ্রামগুলিতে প্লাবন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে । বাসিন্দাদের আশঙ্কা, যেভাবে জলের গতি ভাগীরথী থেকে ধেয়ে আসছে তাতে ব্রিজের আরও একটি গেট ভেঙে পড়তে পারে । স্থানীয় বাসিন্দা মোজাম্মেল হক ,আরমান আলিরা বলেন, ‘‘এক সময় এই ব্রিজ দেখভালের জন্য একজন লোক এখানে থাকতেন। ইদানিং তাঁর দেখা পাওয়া যায় না । ব্রিজটি যদি আগে মেরামত করা হত তাহলে আজ মানুষের এত দুর্দশা হত না”। এদিকে প্লাবনের কথা শুনে এলাকায় যান পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর মিঞা । তিনি বলেন , “সবার আগে মানুষের আতঙ্ক দূর করতে আমরা জলমগ্ন এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি । প্রয়োজনে ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। যাতে ওই ব্রিজ দ্রুত সারানো যায় সেই ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা চলছে’’।