/indian-express-bangla/media/media_files/2025/05/26/vTpLmgJgzoYSTrPsAP6X.jpg)
প্রতীকী ছবি।
কবর থেকে তোলা হল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর দেহ। গত পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার অন্তর্গত রাধাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রাহিদুল ইসলাম। পেশায় ছিলেন সবজি ব্যবসায়ী। রহস্যজনকভাবে গত ১৯ শে জুন রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ২০ শে জুন ভরতপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় পরিবারের তরফে।
পুলিশ লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে। সোমবার রাতে জিগর সেখ ও আফসার সেখ নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। ধৃতদের বয়ানের ভিত্তিতে উদ্ঘাটন হয় রহস্যের। কী ঘটেছিল সেই রাতে? জানা যায়, ১৯ শে জুন রাতেই শ্বাসরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে ঝিকরা গ্রামে কবর দিয়ে দেহ পুঁতে দেওয়া হয়েছিল রাহিসুল ইসলামকে।
ভরতপুর থানার পুলিশের প্রাথমিক ভাবে অনুমান, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই প্রতিশোধ নিতে এই ঘটনা ঘটানো হতে পারে। তৈরি হয় প্ল্যান। প্ল্যান মোতাবেক রাহিদুল ইসলামকে খুন করে ঝিকরা গ্রামে কবর দিয়ে পুঁতে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ধৃত দুই অভিযুক্ত জিগর সেখ ও তার ভগ্নিপতি আফসার সেখকে দশ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
আদালত সাতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিতেই অভিযুক্ত জিগর সেখকে সাথে নিয়ে ঘটনার পুনঃনির্মাণ করে পুলিশ। কবর থেকে দেহ তোলা হয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে। এলাকায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে দিয়েই দেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
প্রচুর মানুষ এদিন ভিড় করেন। আত্মীয় সজন থেকে পাড়া প্রতিবেশী প্রত্যেকের মুখেই শাস্তির দাবী। কান্নার রোল চারিদিকে। পরিবারে স্ত্রী সন্তান, বৃদ্ধ মা রয়েছে রাহিদুল ইসলামের। আপনজনকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ পরিবার। মৃতের স্ত্রী সার্জিনা খাতুন জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে বাড়ি আসে তাঁর স্বামী। কিছুক্ষন পরেই ফোন করে কেউ ডাকে। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আর বাড়ি ফেরেনি।
মিসিং ডায়েরি হয় থানায়। মাঠের মধ্যে জুতো খুঁজে পাওয়া যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে। তারপরেই দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। কী কারণে খুন জানা নেই, কারও সাথে কোন শত্রুতা ছিল না।পুরো ঘটনার তদন্তে ভরতপুর থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কী বলে- সেদিকেই তাকিয়ে মৃতের পরিবারও।