সামসেরগঞ্জের জাফরাবাদে বাবা ও ছেলে জোড়া খুনের ঘটনায় আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতদের নাম আজফারুল শেখ ও মনিরুল শেখ। দুইজনেই সামসেরগঞ্জের শুলিতলার বাসিন্দা। ধৃতদের সোমবার জঙ্গিপুর মহকুমা আদালতে পাঠানো হলে বিচারক পাঁচ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেন।
জঙ্গিপুর পুলিস সুপার অমিত কুমার শ বলেন, "ধৃতরা জোড়া খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। ঘটনার পর থেকে দুইজনেই গা-ঢাকা দিয়েছিল। রবিবার রাতে ঝাড়খন্ডের জামশেদপুর সংলগ্ন এলাকা থেকে আজফারুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার সকালে বীরভূমের রামপুরহাট থেকে মনিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই নিয়ে জোড়া খুনের ঘটনায় মোট ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হল।" এরই পাশাপাশি জঙ্গিপুর মহকুমায় হিংসার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ১৮০টি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের দিকে দিকে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। জঙ্গিপুর থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ- প্রতিবাদ ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে সামশেরগঞ্জ, সুতি,ধুলিয়ান জুড়ে। দিকে দিকে নির্বিচারে বেপরোয়া ভাবে চলে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ। এমনকি তিনজনের প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটেছে। সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে বাড়িতে ঢুকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে হরগোবিন্দ দাস এবং চন্দন দাস নামে দুজনকে। সম্পর্কে এরা বাবা ছেলে।
মুর্শিদাবাদের সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে উত্তাল হয়েছে গোটা রাজ্য। প্রাণভয়ে সামশেরগঞ্জ থেকে বহু হিন্দু পরিবার নদী পেরিয়ে মালদা জেলায় গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল। বেশ কিছু পরিবার অন্য জেলায় এমনকি ভিন রাজ্যে পর্যন্ত তাদের আত্মীয়র বাড়িতে গিয়ে উঠেছিল। পরবর্তী সময়ে পুলিশ প্রশাসন ভরসা দেওয়ায় তারা বাড়িতে ফিরেছে।
তবে আগুন লাগানোর জেরে অনেকেরই বাড়ি পুড়ে গেছে। কারো বাড়িতে চলে ভাঙচুর। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করা হয়েছে। সেইসঙ্গে হিংসার ঘটনায় চলছে দুরন্ত চলন্ত। জাফরাবাদে বাবা- ছেলেকে খুনের ঘটনায় এর আগেও বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হয়েছিল। এবার আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।