Dilip Ghosh On Murshidabad violence : মুর্শিদাবাদে সাম্প্রতিক হিংসার ঘটনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাসরি দায়ী করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ইন্ধনেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করছেন? তাঁর তো প্রশাসন আছে, সরকার আছে। পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।” পাশাপাশি ভাইরাল ভিডিওর প্রসঙ্গ টেনে তিনি অভিযোগ করেন, “দাঙ্গার আগে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের লোকেরাই মানুষকে উসকানি দিচ্ছিল। তাদের ধরতে হবে।”
মুখ্যমন্ত্রীর কার্যকলাপ নিয়ে প্রশ্ন
দিলীপ ঘোষের আরও অভিযোগ, “মুখ্যমন্ত্রী অপরাধীদের শান্তির দূত বলেন। এই সরকারের কোনও দায়িত্ববোধ নেই।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দোষীদের না ধরলে NIA তদন্ত করবে, গ্রেফতার করবে এবং বাকি জীবন জেলেই কাটবে। এমনকি আফস্পা জারি করা হবে।” দিলীপ ঘোষ দাবি করেন, তৃণমূল এখন সেই কাজই করছে যা এক সময়ে বামফ্রন্ট সরকার করত।
রাজ্যপালের ভূমিকায় প্রশংসা
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকাকে কুর্নিশ জানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “এই কঠিন সময়ে রাজ্যপাল নিজে ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের কথা শুনেছেন। ওঁর মতো সংবেদনশীল ব্যক্তিত্বের প্রয়োজন ছিল।”
রাজ্যপালের সংবেদনশীল পদক্ষেপ
শনিবার রাজ্যপাল বোস মুর্শিদাবাদের সমশেরগঞ্জের জাফরাবাদ এলাকায় গিয়ে হিংসায় নিহত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি তাদের সমস্ত রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন এবং পাশাপাশি তিনি রাজভবন হেল্পলাইন নম্বরও শেয়ার করেন। পরে ধুলিয়ান বাজারে স্থানীয়দের সঙ্গে কথাবার্তার সময় তিনি বলেন, “মানুষ ন্যায়বিচার ও শান্তি চায়। বিএসএফ ক্যাম্প স্থাপনের দাবিও জানিয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরব।”
৮ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে ওয়াকফ (সংশোধনী) আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হন। এখনও পর্যন্ত ২৭৪ জনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যপালকে সফর স্থগিত করতে অনুরোধ জানালেও, তিনি মালদহ সফর করেন এবং অস্থায়ী শরণার্থী শিবিরে থাকা ঘরছাড়াদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, আতঙ্ক এখনও রয়েই গেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।