Murshidabad Violence: মুর্শিদাবাদের হিংসা নিয়ে SIT রিপোর্টে 'বিস্ফোরক তথ্য', BJP-র তোপে তৃণমূল, হিংসার নৈতিক দায় নিয়ে মমতার পদত্যাগের দাবিতে উঠলো জোরালো সওয়াল। মুর্শিদাবাদ হিংসা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে গঠিত SIT-এর রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এই রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে।
রিপোর্টে TMC কাউন্সিলরের নাম, পুলিশের নিষ্ক্রিয়তারও উল্লেখ
SIT রিপোর্ট অনুযায়ী, ১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার দুপুর ২টার পর থেকেই ধারাবাহিক হামলা চালানো হয় মুর্শিদাবাদের একাধিক এলাকায়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় TMC কাউন্সিলর মেহবুব আলম। অভিযোগ, পুলিশ ও প্রশাসন কোনো রকম পদক্ষেপ নেয়নি, বরং নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে।
১১৩ টি হিন্দু পরিবারের বাড়ি আক্রান্ত, নিশানায় একটি বিশেষ সম্প্রদায়!
SIT-এর তদন্ত অনুসারে, ওই হিংসায় মোট ১১৩টি হিন্দু পরিবারের বাড়ি ও সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিজেপির দাবি, এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নয়, বরং 'টার্গেটেড কমিউনাল অ্যাটাক', যাকে ঘিরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর তুলেছে গেরুয়া শিবির।
BJP-র পাল্টা আক্রমণ: "INDIA জোটের আসল রূপ প্রকাশ্যে"
বিজেপির আরও দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন TMC সরকার শুধু ব্যর্থ নয়, বরং ইচ্ছাকৃতভাবে দোষীদের আড়াল করছে। তাঁদের অভিযোগ, INDIA জোটের অন্তর্ভুক্ত TMC-র এই ভূমিকা প্রমাণ করে, সংখ্যালঘু তোষণের জন্যই রাজ্যে আইনের শাসন বিপন্ন হচ্ছে। BJP-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও রাজ্যের একাধিক নেতা এবিষয়ে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে।
বিজেপি সাংসদ সুধাংশু ত্রিবেদী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, “কিছু সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা সরাসরি হিংসার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন এবং তারা স্পষ্টভাবে 'হিন্দু সম্প্রদায়কে' টার্গেট করেছেন। রাজ্য পুলিশ তৃণমূল নেতাদের আড়াল করতে এবং হিংসা ঠেকাতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “মুর্শিদাবাদ থেকে কাশ্মীরের পহেলগাঁও পর্যন্ত হিন্দুদের উপর আক্রমণের একটি ধারা অব্যাহত রয়েছে। SIT রিপোর্টে উঠে আসা তথ্য প্রমাণ করে যে, মমতা সরকার তোষণের রাজনীতি করছে। হিন্দুদের নিরাপত্তার বিষয়ে তারা উদাসীন।”