কান্দির কংগ্রেস বিধায়ক সফিউল আলম খান ওরফে বনু খানের রং তুলির টানেই মুহূর্তে শিল্পী সত্তা ছাপিয়ে গেল রাজনীতি আর জাতপাতের প্রাচীর। রীতিমতো রাতদিন এক করে টানা মাস খানেক ধরে তাঁর হাতে গড়া মৃন্ময়ী দেবী দশভুজাই ঠাঁই পেয়েছে কান্দির কোর্ট রোড লাগোয়া বাধাপুকুর এলাকার মহিলা সমিতির পুজোয়।
সফিউল আলম খান স্পষ্ট জানিয়েছেন, "শিল্পীর আবার জাত হয় নাকি! সে তো কেবল শিল্পীই। নরম মাটিকে নিজের মন আর হাতের স্পর্শে রূপ দান করাই তাঁর কাজ। সকলে যদি এই ভাবে, তাহলে আর আমাদের দেশে কোন জাতপাতের সমস্যাই থাকবে না"।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় সাবেকি ও থিম মিলিয়ে কম বেশি প্রায় কয়েক হাজার পুজো হয় প্রতি বছর। আর এর মধ্যে বনু খানের তৈরি কান্দির দুর্গা পুজোয় এবার নজর রয়েছে সকলের। শিল্পী জীবনের হাতে খড়ি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় বছর চল্লিশ বছর আগে ক্লাস সিক্সে পড়া কালীন।
পরবর্তীকালে কলকাতার যাদবপুরের তাপস সরকার নামের এক মূর্তি শিল্পীর সঙ্গে আলাপ হয় সফিউল আলমের। তাঁর কাছ থেকেই নানা ধরনের আকৃতির মডেল তৈরির কাজ কাছ থেকে হাতে কলমে শেখেন এই কংগ্রেস বিধায়ক।
এর আগে তিনি একাধিক থিমের স্বরসতী প্রতিমা থেকে কালি, গনেশ, সবই তৈরি করেছেন। এমনকি মোম ও মুসুর ডাল ব্যাবহার করেও প্রতিমা গড়ায় সুনাম রয়েছে তাঁর। এখানেই শেষ নয়, তিনি এলাকার মৃৎশিল্পীদের অসহায় অবস্থায় পাশে দাঁড়াতে কান্দি থানা লাগোয়া তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি দরিদ্র শিল্পীদের ব্যাবহারের জন্য খুলেও দিয়েছেন।