রবিবাসরীয় সকালে শিল্প শহর জুড়ে চাঞ্চল্য। একই পরিবারের চারজনের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ঘটনাস্থল দুর্গাপুরের কুড়ুলিয়াডাঙার মিলনপল্লি এলাকা। রবিবার ভোরে মিলনপল্লির বাসিন্দা অমিত মণ্ডলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ঘর থেকে। তার স্ত্রী, ১০ বছরের এক ছেলে ও এক বছরের মেয়ের দেহ-ও ঘরের মধ্যে পড়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে দেহ উদ্ধারে এলে শুরুতে এলাকাবাসী তাদের বাধা দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগ , অমিত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারকে খুন করা হয়েছে। কেন এই অভিযোগ?
মৃত অমিত মণ্ডলের মাসতুতো বোন সুদীপ্তা ঘোষের অভিযোগ, এই ঘটনার পেছনে মদত রয়েছে মৃত অমিত ওরফে বুবাই মণ্ডলের মা বুলারানী মণ্ডল ও মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ওরফে নান্টুর। মৃত অমিত জানতে পেরে গিয়েছিল যে মামার বাড়িতে পরিবারের বেশ কয়েকজনের ২০১২ সালে টেট পাস না করেও চাকরি হয়েছিল। এসব অমিত তাঁর বোন সুদীপ্তাকে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত লিখে জানায়। তারপরই এদিন ভোরে এই ঘটনা!
মৃত অমিত মণ্ডল পেশায় একজন জমি ব্যবসায়ী। অন্যদিকে মামাতো ভাই সুশান্ত নায়েক ও প্রশান্ত নায়েকও জমি ব্যবসায়ী বলে ওই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে লিখেছেন অমিত। সেখানে অমিত অভিযোগ করেছে যে, বিভিন্ন সময়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বেআইনিভাবে জমির লেনদেন করে বিপুল সম্পত্তি করেছে তাঁর মামাতো ভাইয়েরা। এছাড়াও সরকারী চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা নাকি হাতিয়েছে সুশান্ত নায়েক। এমনই বিষ্ফোরক অভিযোগ করেছেন অমিত, দাবি সুদীপ্তার।
আরও পড়ুন- আদিতেই ভরসা, দলে গুরুত্ব লঘু অভিষেকের নয়া তৃণমূলের
ওই মেসেজে বিচারপতি অভিজিত গঙ্গোপাধ্যায় সহ সিবিআই ও পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন অমিত মণ্ডল। সুদীপ্তা দেবীর আরও অভিযোগ, অমিতের হাত পেছমোড়া করে বাঁধা রয়েছে ও বাড়ির সিসিটিভি কালো পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। তাঁর আরও অভিযোগ, গতকাল রাতে মা বুলারানী মণ্ডল এই বাড়িতেই ছিলেন। যিনি আবার নিজের ছেলে ও তার পরিবারকে কখনও ভাল চোখে দেখতেন না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। গোটা ঘটনায় পরতে পরতে দানা বেধেছে রহস্য। বিশেষ করে মৃত অমিতের ,বোনকে করা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাস্থলে কমব্যাট ফোর্স সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছোয়।