ডিএ-র ধর্না মঞ্চে রহস্যময় পোস্টার ঘিরে চাঞ্চল্য। পোস্টারে ধর্না মঞ্চ বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। সাতসকালে ধর্মতলার শহিদ মিনারের ডিএ ধর্না মঞ্চের পিছনের দিকে এই পোস্টার মেলে। যা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় আন্দোলনকারীদের মধ্যে। ময়দান থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন আন্দোলনকারীরা।
বকেয়া ডিএ-র দাবিতে কলকাতার শহিদ মিনারের পাদদেশে একটানা ৪৬ দিন ধরে অবস্থান-আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। এরই পাশাপাশি টানা ৩২ দিন ধরে চলছে অনশন-আন্দোলন। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস অনশন আন্দোলন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছেন।
রবিবারই রাজভবনে তিনি কথা বলেছেন আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। তাঁদের বক্তব্য রাজ্য সরকারকে তিনি জানাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন। পরে আবারও অনশন তুলে নেওয়ার আবেদন করে রাজ্যপাল বলেছেন, ‘জীবন বড়ই মূল্যবান। সব ধরনের জটিল সমস্যার সমাধান হয়। সমাধানের পথ আমাদেরই খুঁজে বের করতে হবে।’
আরও পড়ুন- সপ্তাহের শুরুতেও ভোগান্তির শেষ নেই, একগুচ্ছ ট্রেন বাতিল শিয়ালদহ ডিভিশনে
এদিকে, শহিদ মিনারের পাদদেশে একরোখা আন্দেলান চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। এবার তাঁদের সেই আন্দোলন তুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে পড়ল রহস্যময় পোস্টার। সোমবার সকালে ডিএ ধর্না মঞ্চের পিছনের দিকে মিলেছে এমনই ২টি পোস্টার। সেই পোস্টারগুলিতে লেখা রয়েছে, ‘এই নাটক বন্ধ করো। নইলে বম্ব দিয়ে মঞ্চ উড়িয়ে দেব।’ ধর্না মঞ্চে এমন পোস্টার মেলায় স্বাভাবিকভাবেই আন্দোলনকারীদের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি ময়দান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এক আন্দোলনকারী বলেন, ‘অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। কী উদ্দেশ্যে এই পোস্টার মারা হয়েছে, প্রশাসনকেই তা খুঁজে বের করতে হবে। ভয় দেখিয়ে এই আন্দোলন দমানো যাবে না। এসব করলে আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়বে।’ এদিকে, শহিদ মিনারের পাদদেশের এই মঞ্চে অবস্থান-আন্দোলনের পাশাপাশি অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্চেন ৭ জন। তাঁদেরই মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে গত দু’দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।