টানা ২ বছর ফ্ল্যাট বন্ধ ছিল। সেই ফ্ল্যাটেই মেরামতির কাজ চালু হতেই চরম চাঞ্চল্য ছড়াল। ওই ফ্ল্যাটের বাথরুম সাফ করতে গিয়ে চোখ কপালে মিস্ত্রিদের। বাথরুমে বড় একটি ড্রামের মুখ সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করে রাখা। সঙ্গে সঙ্গেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর পুলিশ এসে ড্রামটি খুলতেই দেখা যায় সেখানে রয়েছে এক ব্যক্তির কঙ্কাল।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাগুইআটির জগত্পুর বাজার এলাকার চারতলা বাড়িটির মালিক পেশায় চিকিৎসক গোপাল মুখোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ির ওই ফ্ল্যাট ২০১৮ সালে পাঁচ বছরের জন্য ভাড়ায় নিয়েছিলেন এক নেপালী দম্পতি। দু'বছর আগে তাঁরা নেপালে চলে যান। তারপর কীভাবে কঙ্কালটি বন্ধ ফ্ল্যাটে এল? তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনার (হেডকোয়ার্টার) বিশ্বজিৎ ঘোষ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, 'আমরা কঙ্কাল উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। আমরা নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা করছি। ময়নাতদন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে কঙ্কালটি পুরুষ, নাকি মহিলার। মৃত্যুর কারণও সেখান থেকেই জানা যাবে।'
পুলিশের ওই অফিসার জানাচ্ছেন, ২০১৮ সালে যে নেপালি দম্পতি ভাড়াটে ওই ফ্ল্যাটটি ভাড়া নিয়েছিল, তাঁরা দু'বছর আগে ফ্ল্যাটটি তালা দিয়ে চলে গেলেও ভাড়া মিটেচ্ছিলেন। তারপর? ডেপুটি কমিশনার (হেডকোয়ার্টার) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেছেন, 'বাড়ির মালিক গত ছয় মাস ধরে কোনও ভাড়া না পাওয়ায় তিনি তালা ভেঙে ফ্ল্যাট পরিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেন। তারপর সেটি পরিষ্কার করার সময় এই বিষয়টি নজরে পড়ে।'
বাড়ির মালিক চিকিৎসক গোপাল মুখোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান যে, এই দম্পতির বয়স ত্রিশের কোঠায়। পুলিশের মতে, বাড়িওয়ালা ভাড়ার চুক্তি এবং ভাড়াটিয়াদের যোগাযোগের বিবরণ দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করছেন। তবে, ওই নেপালি দম্পতির মোবাইল ফোন এখন বন্ধ।