/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/02/nabanna.jpg)
নবান্ন অভিযানে পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়ে মৃত্যু হল এক বাম সমর্থকের। মৃতের নাম মইদুল ইসলাম মিদ্দা। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের বাসিন্দা ৩১ বছরের মইদুল এক DYFI কর্মী। দলের তরফে অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বামেরদের নবান্ন অভিযানের সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে মারাত্মক আহত হন তিনি। সোমবার সকালে এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর।
নার্সিংহোম সূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলিসের লাঠির আঘাতে শারীরিকভাবে বিধ্বস্ত হন ওই যুবক। এরপর থেকেই তাঁর অবস্থার অবনতি হতে থাকে। পেশায় চিকিৎসক ও DYFI নেতা ফুয়াদ হালিম জানিয়েছেন, লাঠির আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি, জল জমে ফুসফুসেও। মারধর ছাড়া মৃত্যুর অন্য কারণ নেই।
প্রসঙ্গত, ১০টি বাম ছাত্র-যুব সংগঠনের নবান্ন অভিযান ঘিরে বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার ছবি দেখা যায় ধর্মতলায়। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ডোরিনা ক্রসিং এলাকা। কলেজ স্ট্রিট থেকে মিছিল ডোরিনা ক্রসিংয়ে আসতেই পুলিশ বাধা দেয় । তারই জেরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয় মিছিলকারীদের। এরপর বেধড়ক লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে পুলিস। এছাড়াও কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয় এবং জলকামান ছোড়া হয়। লাঠির ঘায়ে আহত হয়েছেন বেশ কিছু বাম কর্মী। কাঁদানে গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। আন্দোলনকারীদের আটকানোর জন্য সবরকমের ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
বাম ছাত্রযুবদের ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিসের লাঠিচার্জ প্রসঙ্গে কলঙ্কিত জালিয়ানওয়ালাবাগের কথা বলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা পলিটব্যুরো সদস্য বিমান বসু। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'এতো মৃত্যু নয় খুন। বাঁকুড়া থেকে গ্রামের ছেলে চাকরি চাইতে এসে কলকাতার রাস্তায় পুলিশ-প্রশাসনের হাতে খুন হল।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন