পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে পরিকল্পিত ভাবে বাধা দিয়েছে পুলিশ। নবান্ন অভিযানে পুলিশ হামলা চালানো হয়েছে। এই অভিযোগ তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। শান্তিপূর্ণ মিছিলের উপর কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ছুড়ে ভেস্তে দেওয়া হয়েছে কর্মসূচি। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজ্যের পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ বঙ্গ নেতৃত্ব দিল্লির হাইকমান্ডকে রিপোর্ট পাঠাবেন। পুলিশি নিগ্রহ নিয়ে সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে ফোন করে নালিশ করেছেন দুই শীর্ষ নেতা।
মঙ্গলবার অভিযান শুরুর আগেই ধাক্কা খায় বঙ্গ বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও একপ্রস্থ নাটক হয়। মহিলা পুলিশ দিয়ে শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ তোলেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে আটক হন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হাওড়ায় আটকে দেওয়া হয়। আটক করে শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মুরলীধর সেন লেনের দফতরেও পুলিশ ঢুকে লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, লক-আপে থাকা দলের দুই নেতাকে ফোন করেন নাড্ডা। তাঁর কাছেই পুলিশি নিগ্রহ নিয়ে অভিযোগ করেন দুই নেতা। নবান্ন অভিযানে বিভিন্ন জায়গায় পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা আবার পুলিশের দিকে ইট-পাথর- কাচের বোতল এমনকী বোমা ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। বড়বাজারে কলকাতা পুলিশের গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশের গাড়ি পোড়ানো নিয়ে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা রাজ্যের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্যের দাবি, "ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকা তৃণমূলের ক্যাডাররাই পুলিশের দিকে পাথর ছুড়েছে এবং পুলিশের গাড়িতে আগুন দিয়েছে।" এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বিজেপির পতাকা হাতে নিয়ে একদল গাড়িতে ভাঙচুর করে আগুন লাগায়।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা, "নিজেদের কর্মসূচির ব্যর্থতা ঢাকতেই এ সব করেছে বিজেপি। এত হাঁডডাক করেও এত কম লোক। সব মিলিয়ে তো মোটে ৯১৮ জন হবে। তাই নিয়ে নাকি নবান্ন অভিযানে যাবে বিজেপি।"
আরও পড়ুন বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার, স্বরাষ্ট্র সচিবের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের