বিজেপির নবান্ন অভিযান নিয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিবের রিপোর্ট জমা পড়ল কলকাতা হাইকোর্টে। সোমবার রিপোর্টের ভিত্তিতে জবাবি হলফনামা চেয়েছেন বিজেপির আইনজীবী। দুটি পেনড্রাইভের মধ্যে সেদিন কী হয়েছিল তার বিস্তারিত বিবরণ জমা পড়েছে হাইকোর্টে। হাওড়া এবং কলকাতায় যে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হয় তার রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে হাইকোর্টে।
এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, আগে পেনড্রাইভ দেখুন প্রধান বিচারপতি তাহলেই বুঝতে পারবেন কী হয়েছিল সেদিন। এই মামলার শুনানি ফের হবে ২৭ সেপ্টেম্বর। প্রসঙ্গত, নবান্ন অভিযানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগে হস্তক্ষেপ করে কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল হাইকোর্ট। বিজেপি এবং রাজ্য সরকারের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর গত মঙ্গলবার সন্ধেবেলায় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী, আজ, সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হত স্বরাষ্ট্র সচিবকে।
সেই মতো এদিন রিপোর্ট জমা দেন স্বরাষ্ট্র সচিবের দফতর। গত মঙ্গলবার বিজেপির আইনজীবীর অভিযোগ ছিল, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে পরিকল্পনা মাফিক আক্রমণ করেছে পুলিশ। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছে। রাজ্য সদর দফতরে ঢুকে বিনা কারণে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের লাঠিচার্জ-মারধর করেছে পুলিশ। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। তাঁকেও আটক করা হয় বিনা কারণে।
পাল্টা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় আদালতে জানান, বিজেপির কর্মসূচির নাম নবান্ন অভিযান। নবান্নের চৌহদ্দির মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকে। ফলত সেখানে জমায়েত বা মিছিলে পুলিশ বাধা দেবে সেটা স্বাভাবিক। আন্দোলনকারীদের বার বার পিছোতে বললেও তাঁরা কথা শোনেনি।
একইসঙ্গে তিনি বিজেপির আইনজীবীর শান্তিপূর্ণ মিছিলের যুক্তির পাল্টা দিয়ে বলেন, “শান্তিপূর্ণ মিছিলের কথা বলা হচ্ছে। প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। ইট ছোড়া হয়েছে। কলকাতার এমজি রোড, হাওড়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ হয়েছে। বাতিস্তম্ভ, পুলিশের কিয়স্ক ভেঙে ফেলা হয়েছে। ৫০ জনেরও বেশি পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। রাস্তার উপর এসি পদমর্যাদার অফিসারকে ফেলে মারধর করা হয়েছে। এটাই কি শান্তিপূর্ণ মিছিলের নমুনা?”