গুজরাতের মোরবিতে ভয়ঙ্কর সেতু ভাঙার পরই টাটকা হয়েছে এ রাজ্যের পোস্তা বা মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের স্মৃতি। সতর্ক মমতা সরকার। বাংলার উত্তরভাগের পাহাড়ি এলাকাতেও রয়েছে ওকাধিক ঝুলন্ত সেতু। এছাড়া, এই ধরণের সেতু রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়াতেও। গুজরাটের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরই তাই রাজ্যের সব ঝুলন্ত সেতুর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে নবান্ন।
কোন জেলায় সংখ্যায় কতগুলি করে ঝুলন্ত সেতু রয়েছে জেলা প্রশাসনের থেকে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া, ওইসব সেতুগুলির বর্তমানে অবস্থা জানিয়ে সরকারের কাছে জেলা প্রশাসনকে দ্রুতরিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
গুজরাতের ঘটনার পর আগামিতে যাতে পশ্চিমবঙ্গে সেতু বিপর্যয়ের মত দুর্ঘটনা ঠাকানো যায় সে দিকে লক্ষ্য রেখেই রাজ্য প্রশাসনের এমন উদ্যোগ বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মোরবি ব্রিজ বিপর্যয়: সন্তানহারা বহু মা-বাবা, নিখোঁজ শিশুদের ছবি নিয়ে ঘুরছেন অভিভাবকরা
এর পাশাপাশি রাজ্যের সব সেতুর স্বাস্থ্যের অবস্থা কেমন? তা পর্যালোচনায় আজ, মঙ্গলবার পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়ের নেতৃত্বে বৈঠক হবে। বিকেল চারটেতে হবে এই বৈঠক।
রবিবার সন্ধ্যায় গুজরাতে মাচ্ছু নদীর উপর মোরবিতে ইংরেজ আমলের সেনসেশন বা ধুলা সেতু ভেঙে ১৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, সংস্কারের পর গত ২৬ অক্টোবরওই সেতু জনগণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। তবে প্রশাসনের তরফে ছিল না ফিট সার্টিফিকেট। এই বিপর্যয়ের জন্য সেনসেশন সেতু রক্ষানাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা সংস্থার আধিকারিকদের গাফিলতিকেই দায়ী করা হচ্ছে।