Advertisment

নদিয়ায় বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২, জারি পুলিশি তল্লাশি

সূত্রের খবর অনুযায়ী, চন্দন মাহাত, সাতগাছিয়া কিমবা কালনা থেকে বিষমদ কিনে শান্তিপুরে বিক্রি করতেন। স্থানীয় এক ব্যক্তির বয়ান, "আগে অন্যদের কাছ থেকে মদ কিনে নিজেরা নেশা করত, পরে নিজের বাড়িতেই ব্যবসা শুরু করে চন্দন"।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

নদিয়ার শান্তিপুরে বিষমদ কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা আট থেকে বেড়ে বারো হল। বিষমদের সরবরাহ কোথা থেকে হল, খতিয়ে দেখতে ওই এলাকায় তল্লাশি জারি রেখেছে পুলিশ।

Advertisment

নদিয়ার এসপি রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, "এখনও পর্যন্ত ১২জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ"। শান্তিপুরে বিষমদ কাণ্ডে চন্দন মাহাতর পরিবারের সব সদস্যেরই মৃত্যু হয়েছে। এই চন্দনই বিষমদের জোগান দিত বলে সূত্রের খবর। ৩২ বছরের চন্দন, তার ভাই লাখি (২৮), এবং তাঁদের বাবা বাসুদেব ওই মদ পান করেছিলেন। শান্তিপুর থেকে কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই বাসুদেবের মৃত্যু হয়। ভাইয়ের মৃত্যু হয় বুধবার,  কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে।

চন্দনের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, "ও এটা বিক্রি করত জানতাম, রোজ ওরা একসাথে বসে মদ্যপান করত, কোনোদিন অসুস্থ হয়নি"।

আরও পড়ুন, নদিয়ায় বিষমদকাণ্ডে মৃত বেড়ে ১১, ধৃত ৪

আপাতত, ২৮ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। চিকিৎসার জন্য এদের প্রত্যেককে কলকাতায় নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, চন্দন মাহাত, সাতগাছিয়া কিমবা কালনা থেকে বিষমদ কিনে শান্তিপুরে বিক্রি করতেন। স্থানীয় এক ব্যক্তির বয়ান, "আগে অন্যদের কাছ থেকে মদ কিনে নিজেরা নেশা করত, পরে নিজের বাড়িতেই ব্যবসা শুরু করে চন্দন"।

সূত্রের খবর বলছে, এর আগেও পুলিশ চন্দনকে আটক করেছিল, কিন্তু পুলিশের সঙ্গে বোঝাপড়ার পর কয়েক ঘণ্টা পরেই ছাড়া পেয়ে যায়।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, যেন সারাবছর ধরে নিয়মিত নজরদারি জারি রাখা হয়। শুক্রবার মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপির কৈলাস বিজয়বর্গী এবং মুকুল রায়েরও সার্বিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শান্তিপুর যাওয়ার কথা।

Read the full story in English

Advertisment