নদিয়ার তেহট্টের একই পরিবারের পাঁচজনের শরীরে কীভাবে সংক্রমিত হল মারণ ভাইরাস? রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এর পিছনে রয়েছে লন্ডন যোগ। লন্ডন ফেরৎ ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেই ওই পাঁচজন করোনায় আক্রান্ত। সন্দেহভাজন আরও তেরোজন। এই ঘটনায় ভীত তেহট্টবাসী।
শুক্রবার রাজ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ১০ থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫। আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন ৯মাসের শিশু সহ ৪ মহিলা। আক্রান্তরা প্রত্যেকেই দিল্লির বাসিন্দা। জানা গিয়েছে, অভিষেক মণ্ডল ব্রিটেন থেকে গত ১৬ তারিখ দিল্লিতে ফেরেন। সেই দিনই নদিয়ার তেহট্টের বার্নিয়ার বাসিন্দা অভিষেকের দাদুর মৃত্যু হয়। ১৭ মার্চ দিল্লি থেকে বার্নিয়া পৌঁছোন অভিষেকের বাবা ও মা। তার দু'দিন পরে পরিবারের আরও পাঁচজন দিল্লি থেকে বার্নিয়ায় আসেন। গত ২০ মার্চ জ্বরে কাবু হয়ে দিল্লির এক হাসপাতালে ভর্তি হন অভিষেক। পরীক্ষায় ধরা পড়ে তাঁর কোভিড-১৯ পজেটিভ।
আরও পড়ুন: করোনায় ‘রেইনকোট দিচ্ছে সরকার’, ক্ষোভে ফুঁসছে কলকাতার ডাক্তার-স্বাস্থ্যকর্মীরা
দিল্লি থেকে বার্নিয়ায় এসেছেন এই খবর জানতে পেরেই গত ২৫ তারিখ নদিয়া জেলা প্রশাসন দিল্লি থেকে আসা ওই পরিবারের ৭ সদস্য সহ মোট তেরো জনকে তেহট্ট কর্মতীর্থে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠায়। শুক্রবার ওই তেরো জনের মধ্যে পাঁচ ৫ জনের করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। তবে, করোনায় আক্রান্ত ব্রিটেন ফেরৎ অভিষেকের বাবা ও মা-য়ের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
দিল্লি থেকে তেহট্টে আসা ওই পাঁচজন এর মাঝে কাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন তাদের সন্ধান চালাচ্ছে প্রশাসন।
এর আগে বাংলার যে দশজনের শরীরে কোরানর জীবাণু মিলেছিল তাঁরা প্রত্যেকেই কলকাতা বা শহরতলীর বাসিন্দা। এবার রাজ্যেই গ্রামেও করোনার থাবা। যা ঘিরে আতঙ্ক দানা বেঁধেছে। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, একই পরিবারের পাঁচ জন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বিপদ নেই। গোষ্ঠী সংক্রমণেরও লক্ষণ নয়। তবে, এক্ষেত্রে স্থানীয় সংক্রমণ ঘটেছে। করোনার প্রাদুর্ভাব রয়েছে ব্রিটেন সহ গোটা ইউরোপে। ব্রিটেন ফেরত ব্যক্তি দিল্লিতে পৌঁছে কেন কোয়ারেন্টাইনে গেলেন না তা ঘিরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এছাড়া, পরিবারের সদস্যের জ্বর জেনেও কেন ট্রেনে নদিয়ায় এলেন ওই পাঁচজন তা নিয়েও নান প্রশ্ন।