রাত পোহালেই দেশ জুড়ে আলোর উৎসব। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। বারাসাতের পাশাপাশি কালীপুজো উপলক্ষ্যে সেজে উঠেছে নৈহাটিও। এবার নৈহাটির বড় মা’র পুজো শতবর্ষে পা দিতে চলেছে। লক্ষ লক্ষ ভক্তসমাগমের সম্ভাবনায় জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বাড়তি নজর রাখা হবে ফেরি ঘাটেও।
শতবর্ষে পা দিতে চলেছে নৈহাটি বিখ্যাত বড় মা’র পুজো। কথিত আছে একশো বছর আগে নৈহাটির বাসিন্দা ভবতোষ চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন রাশের উৎসবে গিয়ে বিশাল প্রতিমা দেখে স্তম্ভিত হয়ে যান। ফিরে এসেই ঠিক করেন এরকম বড় প্রতিমার কালী পুজো করবেন। সেই থেকে শুরু বড়মা’র পুজো।
প্রায় বছর খানেক ধরেই চলছিল মন্দির সংস্কারের কাজ। কালী পুজোর আগেই তা সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখনও কিছু কাজ বাকী রয়েছে। এবার শতবর্ষ উপলক্ষ্যে বিরাট আয়োজন করা হয়েছে বড় মা’র পুজো ঘিরে। বসানো হয়েছে কষ্ঠি পাথরের মূর্তি। প্রায় ৬ কোটি টাকায় ঢেলে সাজানো হয়েছে মন্দির প্রাঙ্গন। পুজোর দিন একশো কেজি সোনার গহনা পরানো হবে বড় মা'কে।
কথায় আছে, ‘ধর্ম যার যার বড় মা সবার’। এবারই শতবর্ষে পা দিতে চলেছে নৈহাটির ঐতিহ্যবাহী বড় মা’র পুজো। শতবর্ষ উপলক্ষ্যে ১০০ ঘন্টা টানা ভক্তদের বড় মা’র প্রসাদ বিলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কমিটি। পাশাপাশি ১০০ টি বৃক্ষও রোপণ করা হয়েছে। মন্দির কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, 'এমনিতে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতি বছরই কাতারে কাতারে মানুষ ভিড় জমান বড় মা’র পুজোয়। এবার নয়া মন্দির ভবন ও বড় মা’র শতবর্ষ উপলক্ষ্যে লাখো ভক্তসমাগমের আশা করা হচ্ছে'। ২২ফুটের প্রতিমায় প্রতিবারের মত বড় মা পুজিত হবেন বলেই জানানো হয়েছে মন্দির কমিটির তরফে।
দিন কয়েক আগেই মন্দির চত্বরে রাজস্থান থেকে আনা বড়’মার বিশেষ সাড়ে চার ফুটের কষ্ঠি পাথরের মূর্তি বসানো হয়েছে। যেমনটি বড় মাকে দেখে আসছেন ভক্তরা হুবুহু একই রূপ দেওয়া হয়েছে। মন থেকে কিছু চাইলে খালি হাতে কোন ভক্তকেই ফেরান না তিনি। এমনই প্রবাদ প্রচলিত রয়েছে বড় মা’কে ঘিরে। আর এবার শতবর্ষে জাগ্রত এই পুজোকে চাক্ষুষ করতে যে লাখো মানুষের সমাগম হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত মন্দির কমিটি।