করোনা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও বৈঠক করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। কিন্তু, বক্তার তালিকায় নাম নেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর। এই পরিস্থিতিতে ফের একবার কড়া অবস্থান নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, বুধবার মোদীর ভার্চুয়াল বৈঠকে থাকবেন না মমতা। পরিবর্তে রাজ্যের তরফে ওই বৈঠকে বাংলার মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা অংশ নেবেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
মোদীর বৈঠক এড়ালেও এদিন দুপুর তিনটেয় কোভিড-১৯ পরিস্থিথি ও আমফানের ত্রাণ বন্টন নিয়ে প্রত্যেক জেলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবার নবান্নে যে তালিকা দিল্লি থেকে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ৩৬টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মধ্যে বলার সুযোগ পাবে মাত্র ১৩টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। গতকালই প্রধানমন্ত্রীর ডাকা ভিডিও বৈঠকের প্রথম পর্যায়টি হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন করেন, করোনা রুখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় যেন শিথিলতা না আসে।
রাজ্য সচিবালয়ের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, 'বুধবার, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক, বিহার ও তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীরা ভার্চুয়াল বৈঠকে বক্তব্য রাখবেন। কিন্তু, বক্তাত তালিকায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর নাম রাখা হয়নি। এই কারণে মুখ্যমন্ত্রী অপমানিতবোধ করেছেন। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আজকের বৈঠকে অংশগ্রহণ না করার।' পুরো বিষয়টিকে বাংলার প্রতি 'অবমাননা' হিসাবে তুলে ধরতে মরিয়া শাসক শিবির। মোদী সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কন্ঠ রোধের চেষ্টা করছে বলে সরব তৃণমূল।
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় টুইটে জানিয়েছেন, 'কেন্দ্র ফের একবার বাংলার মানুষকে অপমান করল ও মমতার কণ্ঠ দমিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীদের বলতে দেওয়া হচ্ছে না, ফের প্রমাণিত ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সের বিষয়টি লোক দেখানো একটা বিষয়।' তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষদস্তিদারের কণ্ঠেও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথার প্রতিধ্বনি। তাঁর কথায়, 'সংকটে বাংলার মানুষের প্রতি কেন্দ্র কেন এত উদাসীন তার ব্যাখ্যা দিতে হবে মোদী সরকারকে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে ভয় পেয়েই তাঁকে বলতে দেওয়া হচ্ছে না।'
প্রাক্তন রেলমন্ত্রী ও তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী জানিয়েছেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্যর্থ মোদী সরকার, যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে পারেন। সেই ভয়েই কেন্দ্রের এই আচরণ। বাংলার প্রতি এই বঞ্চনা মানুষ মেনে নেবেন না দাবি তাঁর।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন