বকখালিতে চোখ ধাঁধানো বিশ্বকবির বালু ভাস্কর্য, আর তা তৈরি করেই ভারত সেরার তকমা জিতে নিয়েছেন শিল্পী পলাশ দাস। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সব চেয়ে বড় বালু ভাস্কর্য তৈরি করে তিনি চমকে দিয়েছেন সকলকেই। তার এই কৃতিত্বের জেরে ইতিমধ্যেই তিনি নাম তুলেছেন ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস-এ। রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে বিশ্বকবির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েই এমন বালু ভাস্কর্য তৈরি করেন শিল্পী পলাশ দাস। নিজের এই শিল্পকর্ম জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতি পাওয়ায় বেজায় খুশি শিল্পী।
বিশ্বকবি মানে আবেগ। আর সেই আবেগ থেকেই রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীতে বিশ্বকবির বালু ভাস্কর্য তৈরি করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন নামখানার যুবক। আর প্রথম বারেই কেল্লাফতে। পলাশের তৈরি সেই বালু ভাস্কর্য পেল জাতীয় পর্যায়ের স্বীকৃতি। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে নাম উঠলো নামখানার যুবকের চোখ ধাঁধানো এই শিল্পকর্ম। ইতিমধ্যেই পলাশের হাতে এসে পৌঁছেছে শংসাপত্র ও মেডেল। স্বীকৃতি মেলায় স্বাভাবিক ভাবেই খুশি নাম খানার প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই শিল্পী।
আরও পড়ুন: < তাক লাগানো শিল্পকর্ম, তুলি বাদ, নাক-দাড়ি দিয়েই ক্যানভাসে অনবদ্য সৃষ্টি শিল্পী রতনের >
নিজের সাফল্য প্রসঙ্গে পলাশ জানিয়েছেন, প্রত্যন্ত এই অঞ্চলে এমন শিল্পকর্ম বকখালিকে সকলের কাছে এক আলাদা পরিচিতি দেবে। এটা ভেবেই ভাল লাগছে। ছোট থেকে আঁকার প্রতি ভালবাসা। তবে সেই ভালবাসার জেরেই এমন এক শিল্পকর্ম যে তাকে জাতীয় স্বীকৃতি দেবে তা ভাবেন নি পলাশ। আগামী বছর নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুকে নিয়ে বিশেষ কিছু শিল্পকর্মের লক্ষ্য রয়েছে তাঁর। কাজের ফাকে প্রত্যন্ত গ্রামের কচিকাঁচাদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিজের হাতেই শেখান আঁকার পাঠ। পাশাপাশি বকখালির সমুদ্র সৈকতে চলে হাতে কলমে বালু ভাস্কর্য-এর প্রশিক্ষণ।