গত শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজনীতিকে 'বিদায়' জানিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা তথা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রলয় পাল। তবে সেই পোস্টের ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ডিগবাজি প্রলয়ের। রবিবাসরীয় সকালে রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করলেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি। কার উপর অভিমানে এবং কেন তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন অকপটে জানালেন সেকথা।
কার উপর তাঁর রাগ বা অভিমান? কেন রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলেন? কী বললেন প্রলয় পাল?
"দলের নেতৃত্বকে নিয়ে কিছু বলব না। আমিও চাই দলের শ্রীবৃদ্ধি হোক। আমার ক্ষোভ আমার নিজের উপরেই। কর্মীদের দলে ঠিকভাবে দলে জায়গা দিতে পারছিলাম না। তাই ভেবেছিলাম রাজনীতি না করলে সমাজসেবামূলক অনেক কাজ আছে যা করা যায়।"
কেন সিদ্ধান্ত বদল?
"তখন মনে হয়েছিল। আমি অনেকের কথা ভাবতে গিয়েছিলাম। আমি কর্মীদের দলে জায়গা দিতে পারছিলাম না। তাই মনে হয়েছিল রাজনীতি থেকে সরে গেলে তাঁদের জায়গা দিতে পারব। তাই ফেসবুক পোস্ট করে রাজনীতিকে বিদায় জানিয়েছিলাম। এখন মনে হচ্ছে রাজনীতিতে থেকেই তাঁদের জন্য লড়ব। সবার সঙ্গে আলোচনা করেছি। প্রচুর অনুরোধ এসেছে। সবাই বলেছে দাদা ছেড়ে যাবেন না। তাঁদের আবেদনকে প্রাধান্য দিয়েছি। তাই আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছি। আবেগবশত পোস্টটা করেছিলাম। পোস্ট করে মনে হয়েছিল যেন মানসিক শান্তি পেলাম। এখন কর্মীদের কথা ভেবেই আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছি।"
আরও পড়ুন- হৃদয় জোড়ানো অসাধারণ পরিবেশ! পুজোয় ঘোরার সেরা বাজি বাংলার এই পাহাড়ি গ্রাম
উল্লেখ্য, শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে রাজনীতি ছাড়ার কথা বলেছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পাল। তার ৪৮ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই সাংবাদিক বৈঠক করে রাজনীতিতে থাকার কথাই আজ জানালেন বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি নন্দীগ্রামের বাসিন্দা প্রলয় পাল।
বিজেপি নেতা প্রলয় পালের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট নিয়ে জোরদার জল্পনা ছাড়ায়।
বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত প্রলয় পাল। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই প্রলয় পালের সঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথোপকথনের একটি অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল। যদিও সেই অডিও ক্লিপটির সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা।