/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/01/Sahid-Diwas.jpg)
নন্দীগ্রামে শহিদ দিবস পালন।
Sahid Diwas: নন্দীগ্রামের 'শহিদ দিবস'-এর সভা ঘিরে আবারও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠল। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শাসকদল তৃণমূল ও বিরোধী বিজেপির পক্ষ থেকে আলাদা করে 'শহিদ দিবস' পালন করা হয়। শহিদ দিবস (Sahid Diwas) পালনের জন্য দুটি রাজনৈতিক দলকে সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়। রবিবার ভোর চারটে থেকে সাড়ে ছ'টা পর্যন্ত তৃণমূল (TMC) এবং সকাল ৬:৪৫ থেকে বেলা ৮টা পর্যন্ত বিজেপি (BJP) শহিদ দিবস পালন করবে, এমনই কথা ছিল।
শহিদ দিবসের আগে নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়া শহিদ স্মরণ সভা মঞ্চের ঠিক পাশেই ‘কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) গো ব্যাক’ পোস্টার পড়েছে। সভার কয়েক ঘণ্টা আগে এই পোস্টার ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পোস্টারে লেখা, ‘মিথ্যাবাদী কুণাল গো ব্যাক’। এছাড়াও 'কুণাল ঘোষ জেল খাটা আসামি দূর হঠো' পোস্টারেও ভরে রয়েছে গোটা এলাকা।
আরও পড়ুন- CPIM Brigade Rally: ব্রিগেডে বাড়ছে ভিড়, উচ্ছ্বসিত বাম শিবির
তৃণমূলের (TMC) অভিযোগ, বিজেপি (BJP) এই সব পোস্টার লাগিয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের অভিযোগ উড়িয়েছে বিজেপি। ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি ভরত মণ্ডল, শেখ সেলিম, বিশ্বজিৎ মাইতি নিহত হন। ওই দিনটিকে স্মরণ রেখে ২০০৭ সালের পর থেকে তৃণমূলের তরফে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির ব্যানারে শহিদ দিবস পালন করা হয়।
শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর 'শহিদ দিবস' পালনও ভাগাভাগি হয়ে যায়। তৃণমূল ও বিজেপির পক্ষ থেকে আলাদা করে 'শহিদ দিবস' পালন শুরু হয়। প্রতিবছর শহিদ দিবস পালনকে ঘিরে রাজনৈতিক পারদ চড়ে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পুলিশের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী 'শহিদ দিবস' পালন করা হলেও রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব যেন কিছুতেই থামছে না।