Advertisment

নারদকাণ্ডে জেল হেফাজতে আইপিএস মির্জা

আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মির্জাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নগর দায়রা আদালত।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
smh mirza, মির্জা

জেল হেফাজতে মির্জা। ফাইল ছবি।

নারদ কেলেঙ্কারির ঘটনায় জেল হেফাজতে পাঠানো হল বর্ধমানের প্রাক্তন পুলিশ সুপার এসএমএইচ মির্জাকে। আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মির্জাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নগর দায়রা আদালত। উল্লেখ্য, নারদকাণ্ডে গত সপ্তাহেই গ্রেফতার করা হয়েছিল আইপিএস মির্জাকে। এরপর তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।

Advertisment

নারদকর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের স্টিং অপারেশনের ফুটেজে মির্জাকে টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। এ তদন্তে অতীতে মির্জাকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। মির্জাকে অনেক দিন ধরেই নজরে রাখা হচ্ছিল বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। নারদকাণ্ডের তদন্তে মির্জাকেই প্রথম গ্রেফতার করেছে সিবিআই। ক’দিন আগেই নারদকাণ্ডে অভিযুক্তদের কন্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষা করে সিবিআই। ম্যাথু স্যামুয়েলের করা স্টিং ফুটেজে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী ও সাংসদদেরও।

আরও পড়ুন: ‘ষড়যন্ত্র’ করছেন মমতা, নারদকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন মুকুল

এদিকে, রবিবার সকালে নারদকাণ্ডে ধৃত পুলিশ কর্তা সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জাকে নিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের এলগিন রোডের ফ্ল্যাটে যায় সিবিআই। জানা যায়, টাকা লেনদেনের ঘটনার পুর্ননির্মাণ করার জন্যই মুকুলের বাড়ি গিয়েছিলেন সিবিআই কর্তারা। সূত্রের খবর, শনিবার মির্জার সঙ্গে মুকুল রায়কে মুখোমুখি বসিয়ে টাকা লেনদেন সংক্রান্ত ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু অসঙ্গতি পেয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। যদিও টাকা লেনদেনের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন মুকুল।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের মুখে ম্যাথু স্যামুয়েলের করা নারদ স্টিং অপারেশনে হইচই পড়ে গিয়েছিল রাজ্য রাজনীতিতে। নারদ স্টিং অপারেশনে তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে টাকা নিতে দেখা যায়। সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল পড়ে যায়। পরবর্তীকালে এ ঘটনার তদন্তভার নেয় সিবিআই।

kolkata news cbi
Advertisment