কোনও দল নয়, দেশকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হোক। সোমবার নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে জি-২০ সম্মেলনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত বৈঠকে এই কথাই বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের নিয়ে এই বৈঠকে নিজের দলীয় অবস্থান স্পষ্ট করে মমতা জানিয়ে দিলেন, জি-২০ প্রেসিডেন্সি কোনও একটি দলের অ্যাজেন্ডা নয়, বরং গোটা দেশের সম্মানের বিষয়। সেটা যেন অক্ষত থাকে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এদিনের বৈঠকে বিরোধী দলের মুখ্যমন্ত্রী, সর্বোচ্চ নেতা-নেত্রীদেরও একই সুর ছিল। ভারত জি-২০ বৈঠকের সভাপতিত্ব করবে। বছরভর এই সংক্রান্ত নানান কর্মসূচি রয়েছে। দেশের কাছে এটা গর্বের বিষয়, সেটাই সমস্বরে স্পষ্ট করেছে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দলের প্রতিনিধি ও মুখ্যমন্ত্রীরা।
সূত্রের খবর, মমতা বৈঠকে বলেছেন, ভারত জি-২০র সভাপতিত্ব করছে এটা সুখবর। এই সুযোগকে যথাসম্ভব কাজে লাগাতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে মিলে কাজ করতে হবে। এর পরই তিনি বলেন, এটা দেশের স্বার্থ বহন করে, কোনও দলের নয়। বিদেশনীতির ক্ষেত্রে সব দলের এক হওয়াটাই উচিত।
আরও পড়ুন মোরবি বিপর্যয় নিয়ে টুইটের ‘অপরাধ’, গভীর রাতে জয়পুর এয়ারপোর্টে গ্রেফতার তৃণমূল মুখপাত্র সাকেত গোখলে
এদিকে, আজ, মঙ্গলবার রাজস্থান যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে আজমের শরিফ দর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার পর আগামিকাল, বুধবার দিল্লিতে ফিরে দলের সাংসদদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারবেন তৃণমূলনেত্রী। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে কোন কোন ইস্যুতে কেন্দ্রকে চাপে ফেলতে হবে বা কোন ইস্যুতে দল কী অবস্থান নেবে সেসব নিয়েই রণকৌশল নির্ধারণ করে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই এবার দিল্লি সফরে গিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাই রাজনৈতিক দিক থেকে মমতা-অভিষেকের একসঙ্গে এই দিল্লি সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।