Cooch behar incident :মাথাভাঙায় মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারের ঘটনায় রাজ্য-রাজনীতি উত্তাল। গতকালই বিজেপি তরফে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল নির্চাতিতা ওই মহিলার সঙ্গে কথা বলেন। দেখা করেন কোচবিহারে পুলিশ সুপারের সঙ্গেও। এবার কোচবিহারে এলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি। শনিবার রাতে কোচবিহার সার্কিট হাউজে এসে পৌঁছান তিনি। রবিবার সকালে তিনি নিজে নির্যাতিতার দেখা করবেন। গোটা ঘটনার বিবরণ তাঁর মুখ থেকেই শুনবেন তিনি। পাশাপাশি যে এলেকায় ঘটনাটি যেখানে ঘটেছে, সেই রামঠেঙ্গা এলাকাতেও যাবেন তিনি ৷ এর পাশাপাশি জেলা পুলিশ সুপারের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। প্রবল চাপের মুখে অবশেষে নির্যাতিতা ওই মহিলার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। কোচবিহারের সদর মহিলা থানায় মহিলার বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ।
আরও পড়ুন : < PM Narendra Modi Mann Ki Baat Highlights: তৃতীয় বার সরকার গঠনের পর মোদীর প্রথম ‘মন-কি-বাত’, টিম ইন্ডিয়াকে জয়ের শুভেচ্ছা >
কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপি সংখ্যালঘু মহিলা কর্মীকে বিবস্ত্র করে মারের ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল গতকালই নির্যাতিত ওই মহিলার সঙ্গে দেখা করেন। গোটা ঘটনায় বিবরণ শোনেন। একই সঙ্গে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কোচবিহারের পুলিশ সুপারের সঙ্গেও দেখা করেন। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তার অভাব বোধ করায় নির্যাতিতা দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।
বিজেপি রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধি ছিলেন ফাল্গুণী পাত্র, শিখা চট্টোপাধ্যায়, মালতী রাভা রায়, শশী অগ্নিহোত্রী, মাফুজা খাতুন ও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায়। গতকাল দুপুর ১২ টা নাগাদ পুলিশ সুপার অফিসের সামনে ধর্ণাঅবস্থানে বসেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। অবস্থান বিক্ষোভের মধ্যে থেকেই পার্কস্ট্রিট, হাঁসখালি কাণ্ডের তুলনা টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলোধোনা করেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, 'আপনি আমাদের জন্য লজ্জা। সংখ্যালঘুদের লজ্জা বাংলার এই মুখ্যমন্ত্রী। বাংলাতে বিজেপি করাটা এখন পাপ'।
আরও পড়ুন : < Gangstar subodh singh: জেলে বসেই চলত কোটি কোটির সাম্রাজ্য, ‘গ্যাংস্টার’ সুবোধ সিংকে অবশেষে হেফাজতে নিল CID >
গোটা ঘটনা নিয়ে আগেই সংখ্যালঘু কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠি লিখে তাদের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির অভিযোগ, নির্যাতনের পর নির্যাতিতা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ। পরে চাপের মুখে লিখিত অভিযোগের পুলিশ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে। বিজেপির তরফে গোটা ঘটনায় সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানানো হয়েছে।